পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

८योदरनद्म नेिक्षेिखकानि רישצ ইত্যাদি । এই খানেই যুবারা ক্ষাস্ত হয় নাই—একেই চরম বলির স্বীকার করে নাই। যুবক দুনিয়া কখনো বলে নাই, “রে মুহূৰ্ত্ত, তুই অতি সুন্দর, তুই দাড়া”। সৰ্ব্বদা বলিয়াছে “চাষবাস মধুর বটে, কারিগরদের শ্রেণী-স্বরাজ সুন্দর বটে। গোপুরম, গথিক গির্জা, গুম্বজ ওনা বটে। যা কিছু গড়িয়া তুলিয়াছি সবই স্বত্র বটে। কিন্তু এক মাত্র এই সবে সানাইবে না। জীবনের পথ আবার নূতন করিয়া গড়িয়া তুলিতে হইবে।” এই খানে দুনিয়ার বোমা ফুটিল—বাপযন্ত্র অরি বাস্পপোত । এর ফলে দুই হাজার দশ হাজার বৎসরের সভ্যতা কোথায় চলিয়া গেল ! পয়দা হল উনবিংশ শতাব্দীর বর্তমান জগৎ । মানবীয় যৌবন-শক্তির অপূৰ্ব্ব স্বষ্টি। সেই পুরাণ রাজা-প্রজা উড়িয় গেল । পুরাণ পরিবার-বন্ধন উড়িয়া গেল । পুরাণ ভাত-কাপড়ের বিধান উড়িয়। গেল । পুরাণ জমিজমার বন্দোবস্ত, পুরাণ পল্লী শহর, পুরাণ চাষ-প্রধান সভ্যতা লোপ পাইল । দিগ বিজয়ের মন্তর জীবন ফুরাইবার নয়। কোন যুগে কোন কেন্দ্রে, কোন ব্যক্তির জীবনে, কোন সমাজে ফুরাষ্টবরি নয় । প্রত্যেক অ ত'ত মুহূৰ্ত্তকে যুবা বলিয়াছে —“রে মুহূৰ্ত্ত, তোকে আমি কলা দেখাইতেছি ।" মধুচ্ছন্দ, বশিষ্ঠ, বিশ্বামিত্র, অগস্ত্য হইতে আরম্ভ করিয়া হাজার হাজার ভারতীয় অভারতীয় ঋষিরা, মানব সভ্যতার প্রবর্তকের বলিয়া আসিয়াছে,—*রে অতীত, তোকে কলা দেখাইতেছি, তুষ্ট চরিয়া খা গিয়া । তোকে রাপিয়া দিব আলমারীর ভিতরে । তোকে রাখিৰ মিউজিয়ামে । ছেলেরা দেখিবে । তুই ঠাকুরদাদাদের হাড়-গোড়ের মত থাকিবি কবরে ৷” দিগ্বিজয়ী যৌবনের গানে এই হইতেছে এক মাত্র “মুদা" ।