পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

८षोश्वानङ्ग ििक्षछद्म 있et জানে যে এ দুয়ের মিলন কোনদিনই ঘটে নাই, ঘটিতে পরিবে কিনা বলা মুস্কিল। সেদিন আমরা গাহিয়াছিলাম — “ ও আমার দেশের মাটি তোমার পরেই ঠেকাই মাথা, তোমাতেই বিশ্বময়ীর বিশ্বমায়ের আঁচল পাতা ।” কি “রাজা”, কি “প্রজা", কি জমিদার, কি কিষাণ, কি মালিক, কি মজুর সকলে এক সাথে মিলিয়া বাংলার বারোয়ারী-তলায় দাড়াইয়া মাথা নত করিয়া ১৯০৫ সনে এই গান গাহিয়াছিল । আজ ১৯২৬ সন । যুবক ভারতের চোখ খুলিয়। গিয়াছে। একমাত্র “ভভিযোগে” আজকাল চলে না । বেশ মালুম হইয়াছে যে, জমিদারে কিষাণে কোনরূপ দোস্তি দেখা ষাটতেছে না । যদি দেখা যায় তবে সে একটা অতিবড় আশ্চর্য রকমের জিনিষ হইবে সন্দেহ নাই । তেমনি মজুর ও মালিকের মধ্যে কোন রফার সম্ভাবনা ও দেখিতে পাইতেছি না । গান আজ ও গাই বটে, কিন্তু গানের “যুগ” আর নাই । কেঠো সত্যগুলা আমাদের দুয়ারে ঘা মারিতেছে । এ ১৯০৫ সন নয়, এ রীতিমত ১৯২৬ সন । মজুরদিগকে মনিবের খাস তালুকের প্রজা ভাবিবার, তাদের তবিয়ং মাফিক তৈরী করিবার, থাসের অনুচর ভাবিবার দিন আর নাই । সে সব দিন চলিয়া গিয়াছে। যুবক ভারতকে, যুবক বাঙ্গলাকে এই পরিবত্তিত রঙ্গমঞ্চে দাড়াইয়া তার নয়। যৌবন-দর্শন গড়িয়া তুলিতে হইবে। আজ সজ্ঞানে ভিন্ন ভিন্ন জাতের, ভিন্ন ভিন্ন ভাষার, ভিন্ন ভিন্ন স্বার্থের ইজ্জৎ ঘোষণা করিবার দিন আসিয়াছে। যে লোক তিন হাজার টাকার চাকরী করে সে কি আর ঐ ত্রিশ টাকার কেরাণীকে ভাষ্ট বলিয়। ভাবিতে পারিবে ? তার সাথে হাত মিলাইতে সমর্থ হইবে ? "ভক্তিযোগ" আর গানের যুগে জামরা ভাবিতাম এ সব সম্ভব । আজি জানি, সম্ভব নয় ।