পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যৌবনের দিগ্বিজয় Se } যাইতেছি না যে, রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতার আন্দোলনে আপনারা থাকিবেন না । বরং বলিব যে,--রাষ্ট্রীয় আন্দোলন আরও গভীর এবং নিবিড় ভাবে চলুক। পাচকোটা হিন্দু মুসলমানের বাংলার কথা দু’চার দশজন রাষ্টিকের মাথায় থাকিলে চলিবে না। এই বাংলার বুকে অনেক রকম সম্প্রদায় আছে । বাংলার সাথে অনেক বিভিন্ন জাতির নানা লোকের সম্বন্ধ বিজড়িত আছে । এইসব গুলোকে এক স্বতোর মধ্য দিয়া পাশ করাইতে গেলে গুলাইয়। যাইবার সম্ভাবনা আছে। রাজনৈতিক আন্দোলনের মধ্যে তুমুল ভাবে দলাদলি চাই। নামজাদা কৰ্ম্মবীর নেতা বহুসংখ্যক নাম চাই । আব প্রত্যেক দলের পেছনেই স্বাৰ্থত্যাগ, কৰ্ম্মশক্তি, উৎসাহ, আবেগ, যৌবনশক্তি সবই অবশ্যক। এই যে আজ ১৯২৬ সনে বিভিন্ন দল মাথা খাড়া করিয়া উঠিয়াছে এটা খুবই অশার কথা । ১৯৭৫ সনে দল একপ্রকার ছিলষ্ট না । তখন মাত্র দুইটা দলের উৎপত্তি হ’ব হ’ব হইতেছিল। আজ তার জায়গায় পাচ সাতটা খাড়া হইয়াছে । এ সবই ভাল কথা । কিন্তু আমার বক্তব্য এই যে—বাংলার যৌবন-শক্তিকে একমাত্র রাষ্ট্রীয় আন্দোলনে ডুবিয়া যাইতে দেওয়া কোনো মতেই বাঞ্ছনীয় নয়। আর ও হাজার আন্দোলন আছে । যুবক ভারতকে নূতন নূতন কৰ্ম্মক্ষেত্র স্বষ্টি করিয়া লইতে হইবে । চাই বৈচিত্র্য, চাক্ট কৰ্ম্মদক্ষতার বিভিন্ন প্রয়াস-কেন্দ্র । আর্থিক আন্দোলন ১৯২৬ সনের কাজের জন্ত ১৯ • ৫ বা ১৫এর চাইতে গুণতিতে বেশী কৰ্ম্মবীর যৌবনবীর দরকার। মাত্র একটা আন্দোলনের কথা বলিব । পাঁচলাখ নতুন “মজুর” গড়িয়া তুলিতে হইবে । পঞ্চাশহাজার মধ্যবিত্তের জন্ত নতুন নতুন অল্প সংস্থানের পথ করিয়া দিতে হইবে। তার জন্ত মাথা