পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১৮ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন ছাড়া ত্যাদড়ামি ভিন্ন অন্ত কিছু বকিয়া যাওয়াও কঠিন। আমি জানি না আপনাদের ধৈর্য্য থাকিবে কিনা। গান-বাজনা আছে, হাসি-কৌতুক আছে, থিয়েটার আছে । এই আবহাওয়ায় ত্যাদড়ের গলাবাজি শুনিতে কেউ রাজি হইবেন কি ? আমি অবশ্য জোর জবরদস্তি করিয়া আপনাদেরকে বিরক্ত করিতে চাই না । এখানে না হয়, আজ না হয়, আর কোথাও বা কোনদিন ত্যাদড়ামি জাহির করিবার সুযোগ পাইবই পাইব । গডভলিকার দর্শন প্রশ্ন হইতেছে,—র্ত্যাদড়, বেয়াড়া বস্তুটা কি ? বেয়াড়। অবশু একটা জানোয়ার সে বিষয়ে সন্দেহ নাই। র্ত্যাদড় একটা লোকও বটে । বেয়াড়ারা যে বেদান্ত প্রচার করে, সে বেদান্তটা আসে কেথেকে ? অতি সোজা ভাষায় বলা যাইতে পারে, বেয়াড়াকে তার উণ্টোর সঙ্গে তুলনা করিলে বস্তুটা সহজেই পাকড়াও করা যাইবে । বেয়াড়া বলিতেছে—“এই যে দুনিয়া দেখিতেছ, এটা বড় মুখের বটে, কিন্তু এর চেয়ে আরও সুথের একটা দুনিয়া হইতে পারে কিনা দেখা দরকার”। বেয়াড়ার উণ্টে যে, সে এ সব লাইনে চিন্তা করে না। সে সকাল বেলা উঠিয়া চা খাইয়া ঘণ্টাখানেক খবরের কাগজ পড়ে, ১০টা বাজিলে বিকে ডাকিয়া বলে “ঝি তেল লইয়া আয়, নাইবার বেলা হইল ।” ১০॥০টা ১১টায় তিনি আফিসে বাহির হইলেন । ৫টায় ফিরিয়া আসিয়া কিছু জলযোগ করিয়া পান চিবাইতে চিবাইতে হেঁদো কি গোলদিঘীতে গিয়া হয় ‘ফরওয়ার্ড’ না হয় ‘অমৃতবাজার’ কি ‘সার্ভেণ্ট’ লইয়া গল্পগুজব । ৮॥০টায় আবার কোটরে প্রবেশ, ইত্যাদি। এ জীবন মন্দ নয়, এতে নিন্দা করিবার কিছুই নাই, বেশ মোলায়েম বটে।