পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

র্ত্যাদড়ের দর্শন ২২১ চরিত্রহীলতায় বাঙ্গালী একজন বাঙ্গালী আর একজন বাঙ্গালীকে যত হিংসা করে, একজন বাঙ্গালীর উন্নতিতে আর একজন বাঙ্গালী যত দুঃখিত হয়, কোন জাৰ্ম্মাণ বা ফরাসী তার স্বদেশবাসীর উন্নতিতে তত দুঃখিত হয় কি না সন্দেহ । আপনাদের যিনি যে মহলে আছেন, তিনি প্রতিদিন বোধ হয় সেই মহলের বাঙ্গালীর চরিত্রকথা সম্বন্ধে এই মতষ্ট প্রচার করিতে বাধ্য হইবেন । এমন কি, বিদেশেও যে-সকল বাঙ্গালী ও অন্যান্য ভারতবাসী দেখিয়াছি, তাহাদের চরিত্র-সম্বন্ধে এই কথাই খাটে। বন্ধুতে বন্ধুতেও বাঙ্গালী সমাজে আন্তরিকতা নাই । সৰ্ব্বত্রই জিলিপির প্যাচ, কুটিল স্বভাব । আমেরিকায়, জাপানে, ফ্রান্সে, ভারতীয় প্রবাসীদের মধ্যে দেখিবেন, কোনো বাঙ্গালীৰ উন্নতিতে যদি কেহ দুঃখিত হইতে হয়, তবে একমাত্র বাঙ্গালীই হইবে । এখানে গড়ডলিক বলিতেছে — “আমি বাঙ্গালী হইয়া জন্মিয়াছি, তাই থাকিব, যেমন চলিতেছি তেমন চলিব, যেমন করিতেছি তেমন করিব।” ত্যাদড় বলিতেছে—“না, পাঙ্গালীর ঘরে যত ভাই বোন, তারা হয়ত অঙ্গ কোন প্রণালীতে তাদেব জীবন গড়িয়া তুলিলেও তুলিতে পাবে। অর্থাৎ বাংলার মাটী, বংলার জল, আর বাংলাব বায়ুতে চিরকাল একমাত্র কুটিল, বক্রগতি, পক্ৰচরিত্র মানুষই পায়দা হইবে একথা ঠিক না হক্টতে ৪ পারে।” বাঙ্গালীর চরিত্রে নীচতা, হিংসাপ্রিয়তা এবং পরশ্ৰকাতরতা গজাষ্ট্ৰয়া উঠিবেঙ্গ উঠিবে, একথা ত্যাদড় স্বীকার করিতে প্রস্তুত নয়। অন্ততঃপক্ষে সেরূপ স্বীকার করাটা ত্যাদড়ের দর্শন নয় । জুনিয়ার পথে ভারভ সহজ কথায় দু’চারটি বুখনি যদি চালাইতে দেন, তাহলে বলিব বৌদ্ধ ঋষিরা যেমন "সত্য চতুষ্টয়ের" কথা বলিয়া গিয়াছেন, আমিও তেমনি