পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৩০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩২ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন ৪॥০ কোটি বাঙ্গালীর সমাজে দুই আড়াই বা তিন লাখ মধ্যবিত্তের দারিদ্র্য বা অবনতি এমন বিশেষ কিছু নয় । মধ্যবিত্তের সৰ্ব্বনাশ ঘটলেও অন্তান্ত শ্রেণীর “পৌষমাস" চালানো অসম্ভব নয় । ত্যাদড়ের ধনবিজ্ঞান এইরূপই বিচার করিতে অভ্যস্ত । নবীন বাংলার মেরুদণ্ড—কারখানার মজুর তারপর চতুর্থ স্বত্র । গড্ডলিকাওয়ালার মধ্যবিত্ত ছাড়িয়া যখন দেশটার কথা ভাবেন, তখন বড় জোর মাঝে মাঝে চাষীদের কথা বলেন। “কৃষির উন্নতি না হইলে দেশের উন্নতি হইবে না, চাষীরা হইতেছে ভারতের, বাংলার মেরুদণ্ড । চাষ জিনিষ আধ্যাত্মিক । এ বস্তু আর কোথাও ছিল না ব| নাই। চাষী হইতেছেন ভারতের আদর্শমাফিক লোক ” এইরূপই তাদের দর্শন। এখানে ত্যাদড় বলিবে—“ভবিষ্যৎ ভারতের মেরুদণ্ড,নয়া বাংলার মেরুদণ্ড মধ্যবিত্তও নয়, চাষীও নয় সে হইতেছে কারখানার মজুর। বাংলাদেশে জমির পরিমাণ এত কম, আর চাষীর ংখ্যা এত বেশী যে, কেহ আর চাষের উপর নির্ভর করিয়া পরিবার প্রতিপালন করিতে সমর্থ নয়। এই অবস্থায় বাংলাদেশকে গড়িয়া তুলিবে চাষী, একথা যদি বলা হয়, তাহলে বুঝিতে হইবে যে, বক্তা একেবারে চরম নৈরাষ্ঠের দর্শনে আসিয়া পৌছিয়াছে। কিন্তু বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্ত যদি কোন চিন্তা করা সম্ভব হয় তাহলে ত্যাদড় বলিবে— “মধ্যবিত্তের দিকেও তাকাইও না, চাষীর দিকেও তাকাইও না । যে জিনিষটা একসঙ্গে দুটোকেই রক্ষণ করিবে, সে হইতেছে কারখানা, ফ্যাক্টরী বা কল-নিয়ন্ত্রিত, যন্ত্র-নিয়ন্ত্রিত আর্থিক বিধান। যেই এক একটা পল্লীর বুকে ফ্যাক্টর কায়েম হইবে, তখনি চাষীরা নিজ নিজ বাস্তুভিটা ছাড়িয়া কারখানায় আসিয়া দেখা দিবে, আর ৩০৷৪০৷৫০ টাকা