র্ত্যাদড়ের দর্শন ২৩৭ পরিত্যজ্য পাদমেকং” কদাপি ন জগাম । এরা তবু অনেকে বিদেশফেরত লোক বটেন । যারা বিদেশে যান নাই, তাদের অবস্থাটাও কি একবার ভাবিয়া দেখিয়াছেন ? ইডেন হিন্দু হষ্টেলের আবহাওয়ার ভিতর কেহ বিদেশে যায় নাই একথা ঠিক । কিন্তু এর আবহাওয়া আগাগোড়া বিদেশের প্রতিমূৰ্ত্তি নয় কি ? এই যে প্রেসিডেন্সি কলেজ, এই যে বিশ্ববিদ্যালয়, এই যে বেঙ্গল কেমিক্যাল ওয়ার্কস, চলিয়া যান বর্গীয় সাহিত্য পরিষদে, বিশ্বভারতীতে, বহু-বিজ্ঞান-মন্দিরে, বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইনষ্টিটিউটে, জাতীয়শিক্ষণ-পরিষদের আওতায়,—যেখানে যেখানে বাংলা সাহিত্যের চরম নিদর্শন, সুকুমার শিল্পের পরাকাষ্ঠী-শিল্প হিসাবে, সাহিত্য হিসাবে, রাষ্ট্রীয় আন্দোলন হিসাবে আমরা যা-কিছু করিতেছি,—তার শতকরা ৯৯৯৯॥• অংশ বিদেশী মাল নয় কি ? অর্থাৎ একশ’ বৎসর ধরিয়া আমরা জীবনে, কৰ্ম্মে, ব্যবসা-বাণিজ্যে, আধ্যাত্মিকতায়, রাজনৈতিক চিন্তায়, সংবাদ-পত্রের পরিচালনে একটা মাত্র স্বত্র প্রচার করিয়া আসিতেছি । যদিও গডডলিকওয়ালারা তা খুলিয়া বলে না, সে কথা হইতেছে—“হতে চাও স্বদেশী, ত আগে হও বিদেশী ।” বর্তমান ভারতের প্রত্যেক কৰ্ম্মবীর এবং চিস্তাবীরই এক একজন পাশ্চাত্য আধ্যাত্মিকতার প্রতিমূৰ্ত্তি । ভারতটা “বৃহত্তর” হইয়াছে তাদেরই কৃতিত্বে । বৰ্ত্তমান ভারতে পাশ্চাত্য আধ্যাত্মিকতা তা যদি আজ পর্য্যন্ত হইয়া থাকে তাহলে ত্যাদড় বলিবে “গডডলিকাওয়াল, বাহির হও এখান থেকে। পাশ্চাত্য সভ্যতাকে ভারতের পল্লীতে-পল্লীতে, শহরে-শহরে, পরিবারে-পরিবারে, দোকানে-দোকানে, মুচী-মেথর-মুদাফরাসের সমাজে, চাষীর বাড়ীতে, মজুরের কৰ্ম্মকেন্দ্রে
