বৃহত্তর ভারত কাহাকে বলে ૨G:ગ প্রতি বৎসর জাপান দলে দলে লোক ভারতবর্ষে পাঠাইয়াছে তাহারা কলিকাতায় বসিয়া থাকে না, তাহারা লাহোর, অমৃতসর, পুন৷ সৰ্ব্বত্র মুল্লুকে মুল্পকে মফঃস্বলের পাড়াগায়ে টিক্টিক করিয়া ঘুরিয়া বেড়াইতেছে। ভারতবর্ষের রস লষ্টয়া গিয়া জাপানকে পুষ্ট করিয়া তুলিতেছে। আজকাল জাপানীর। ইংরেজদের পরে সব চেয়ে আমাদের বড় খরিদার। কোন কোন বিষয়ে ইচ্ছা করিলে জাপান আমাদিগকে কুপেকষা করিয়া মারিতে পারে। যদি ব্যবসায়-ক্ষেত্রে জাপানের সঙ্গে আমাদের লড়িতে হয় তাহা হইলে জাপানী ভাষায় দখল ওয়ালা লোক হইতে হইবে । সেইরূপ জাৰ্ম্মাণির ভাষা দখল না করিলে, আমাদের যারা ব্যবসা চালাইতেছে, যন্ত্রপাতি আমদানি করিতেছে, পাট তুলা প্রভৃতি মাল রপ্তানি করিতেছে তারা বৃহত্তর ভারতের কৰ্ম্মক্ষম প্রজা হইতে পরিবে না। ইতালী ও ভারতে বাজারে কুলির উঠিতেছে । চাই বিশ্বশক্তির ভারতীয় জহুরী বৃহত্তর ভারত প্রতিষ্ঠা করিতে হইলে হাজার হাজার লোক ভারতবর্ষ থেকে বিদেশে পাঠাইতে হইবে আর জেলায় জেলায় বড় বড় শহরে বিভিন্ন দেশের ভাষা প্রচার করিবার ব্যবস্থা করতে হইবে । এ সব করিয়া তুলিতে পারিলে তবে আমাদের ভারতের নানা ঠাইয়ে এক আন্তর্জাতিক কারখানা বা যন্ত্র বা বাটখারা বা মাপকাঠি দাড়াইয়া যাইবে । প্যারিস, বার্লিন, নিউইয়র্ক প্রভৃতি শহরে ভারতের গম তুলা রপ্তানী হইলে ষ্টক এক্সচেঞ্জ ঠিক করিয়া দেয় কার কিন্মং কতখানি । কলিকাতার বাজারে এমন কোন বাটখারা বা যন্ত্রপাতি আছে কি যার সাহায্যে কোনো বিদেশী মাল দেখিবামাত্র বলিয়া দেওয়া সম্ভব কোন জিনিষের কিন্মং কতখানি ? নাই ; গোটা ভারতে এমন কোন প্রতিষ্ঠান নাই যা জাৰ্ম্মাণি বা ফরাসী দেশ
