পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৩৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SQb" নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন নাই । কিন্তু দেখিতেছি, দেশের পল্লীতে পল্লীতে চাষীরা নতুন নতুন কথা শুনাইতেছে । তাহদের বাণী ইস্তাহারে ইস্তাহারে ঠাই পায় নাই কেন ? মজুরদের মুখ-দুঃখও আজকাল সমাজের ঘাটিতে ঘাটিতে মূৰ্ত্তি পাইয়৷ উঠিতেছে । তাহদের কথা হস্তাহারগুলায় শুনিতে পাইলাম না কেন ? দেশের লোক থাইতে পাইতেছে না বলিয়। চীৎকার করিতেছে । এই চীৎকারের প্রতিধ্বনিও ইস্তাহার-সাহিত্যে বিরল কেন ? এই সকল এবং অন্তান্ত এই শ্রেণীর বিষয় সম্বন্ধে ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তির ভিন্ন ভিন্ন মত থাকা সম্ভব। ভিন্ন ভিন্ন কাৰ্য্যপ্রণালী থাকাও সম্ভব। সেই সকল মত এবং কাৰ্য্যপ্রণালী বিভিন্ন দলেরও প্রাণস্বরূপ। কিন্তু কাগজে এই সকল বিষয়ে উল্লেখযোগ্য আন্দোলন হইল কৈ ? আর্থিক আইন-কানুন আর একটা কথা মনে রাখা আবশ্যক । কাউন্সিল-অ্যাসেম্রির আসল কাজ হইতেছে আইন-কানুন ভৈয়ারী করা । আর এই আইনকামুনের বার আন চৌদ্দ আন অংশ হইতেছে ধনদৌলত-সম্পর্কিত। বহিৰ্ব্বাণিজ্য-অন্তৰ্ব্বাণিজ্য সম্বন্ধে বিধি-ব্যবস্থা কায়েম করা এই সকল আইন-গঠনের অন্তর্গত। রেলের আইন, জাহাজের আইন তাহাদের অন্যতম । ফ্যাক্টরি-কারখানার শাসন-পরিচালনা এই সব আইনেরই অধীনে চলিয়া থাকে। গো-জাতির উৎকর্ষবিধান, খাটি গো-দুধের ব্যবস্থা, পল্লী-শহরের স্বাস্থ্যোন্নতি ইত্যাদি সবই শেষ পৰ্য্যন্ত কাউন্সিলঅ্যাসেমব্লিতে আইন-স্বষ্টির উপর নির্ভর করে। এই সকল বিষয়ে বাংলার যে ষে “জন-নায়ক” অথবা রাষ্ট্রীয় দল বিশেষ কোনো মত পোষণ করেন না অথবা দেশবাসীকে কোনো আন্দোলনের সপক্ষে মত পোষণ