পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৩৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাষ্ট্র-সাধনায় হিন্দু-জাতি Հեr> কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াই প্রায় এগার বৎসর পূৰ্ব্বে বিদেশ ভ্রমণে বাহির হইয়াছি। সেই সময়ে—১৯১৪ সালের গোড়ার দিকে এলাহাবাদের পাণিনি আফিস হইতে মৎ-প্রণীত “পজিটিহব, ব্যাকগ্রাউণ্ড অব হিন্দু সোসিঅলজি” অথাৎ “হিন্দু সমাজের বাস্তব ভিত্তি” নামক গ্রন্থের প্রথম ভাগ প্রকাশিত হয় । তাহতে এই লড়াইয়ের স্বত্রপাত করা হইয়াছে। এই পৌনে এগার বৎসরে,—অন্তান্ত কাজের সঙ্গে সঙ্গে,-বিদেশের সৰ্ব্বত্র সেই লড়াইকে সমাজ-বিজ্ঞানের আসরে আসরে আনিয়া হাজির করিয়াছি । আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পণ্ডিত-বৈঠকে এই বাণী শুনানো হইয়াছে। মাকিন সমাজের উচ্চতম বৈজ্ঞানিক পত্রিকায় পত্রিকায় এই সংগ্রাম গিয়া ঠাই পাইয়াছে । ১৯১৬-১৯২ - ) । প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন-ফ্যাকাণ্টিতে এই লড়াই ঘোযণা করা হইয়াছে ফরাসী ভাষায় । “আকাদেমি দে সিয়াস্ মেরাল এ পেলিটিক” নামক রাষ্ট্রবিজ্ঞান-পরিষদের “চল্লিশ আমরের” কানেও এই বাণী প্রবেশ করিয়াছে। পরে এই পরিষদের পত্রিকায় প্রবন্ধও প্রকাশিত হইয়াছে ( ১৯২১ ) । জাৰ্ম্মাণ সমাজেও,—জাৰ্ম্মাণ ভাষায়— বাঈবিজ্ঞানের লড়াই উঠাইতে কতুর করি নাই । বালিনের বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাৰ্ম্মাণির রাষ্ট-সাহিত্য এই সকল তথ্যের আবহাওয়ায় আসিয়া পড়িয়াছে ( ১৯২২-১৯২৩ ) । যুবক ভারতের সংগ্রাম-দূত রূপেই এই অধম লেখক জগতের পণ্ডিত মহলে পরিচিত । “যদিও এ বাহু অক্ষম দুৰ্ব্বল, তোমারি কার্য্য সাধিবে,—” এই মাত্র ভরসা । ১৯২২ সালে লাইপৎসিগ সহরে “পোলিটিক্যাল ইনষ্টিটিউশুনস অ্যাও ):S