পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৩৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミぬ8 নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন পাশ্চাত্য দণ্ড-বিধি দণ্ড-বিধি বা পেন্যাল কোডের আইনে ইয়োরোপীয়ানরা মহা সভ্য, না ? সেকালের গ্রীসে দ্রাকো-সংহিতা জারি ছিল । আথেন্সের ঋণকামুন ছিল পাশবিক । সে কালের রোমে ছিল “দ্বাদশ বিধান” প্রচলিত । মধ্যযুগের খৃষ্টিয়ান রাষ্ট্রে “ইনকুইজিশ্যন” নামক নিৰ্য্যাতন বিধি ও “আইন সঙ্গীত” ব্যবস্থাই বিবেচিত হইত । পরবর্তী যুগের সাক্ষ্য দেখিতে পাই জাৰ্ম্মাণির ন্তির্ণব্যর্গ সহরে । এই নগরের দুর্গে “ফোর্ণগর-কম্মিার” বা নিৰ্য্যাতন-ভবন আজও অষ্টাদশ শতাব্দীর ইয়োরোপীয়ান দণ্ড-প্রণালীর সাক্ষী ভাবে দাড়াইয়া আছে । হেবনিসের দজে-প্রাসাদে ও সপ্তদশ শতাব্দীর ইতালিয়ান বিচার-জুলুম মুৰ্ত্তিমান রহিয়াছে । বর্তমান গ্রন্থের বহর খৃষ্টপূৰ্ব্ব চতুর্থ শতাব্দী হইতে খৃষ্টীয় ত্রয়োদশ শতাব্দী পর্য্যন্ত বিস্তৃত । ইয়োরোপের সমসাময়িক আইন গুলা ধারায় ধারায় আলোচনা করিয়া দেখা যাইতে পারে.—অত্যাচারী, নির্য্যাতন-প্রিয়, নিষ্ঠুরতার অবতার বেশী কাহারা । “সাইকলজি" বা চিত্ত-বিজ্ঞানের আসরে প্রাচ্যে আর পাশ্চাত্যে কোনো তফাৎ চলানো সম্ভবপর কিনা তাহার “বাস্তব” প্রমাণ হাতে হাতে ধরা পড়িবে | আর একটা কথা জিজ্ঞাসা করিব । সপ্তদশ অষ্টাদশ এবং উনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পৰ্য্যন্ত ইংরেজ সমাজে কিরূপ আইন ছিল ? “কেন্ধি,জ মডার্ণ হিষ্টরি” নামক গ্রন্থে কিছু কিছু তথ্য সংগৃহীত আছে। ১৮৪৫ খৃষ্টাব্দের বিলাতী পেদ্যাল কোডে অন্তান্ত অপরাধের সঙ্গে সঙ্গে ২৫০ট। অপরাধের তালিকা দেখা যায় । এই সকল অপরাধের একমাত্র সাজা প্রাণ-দণ্ড ।