পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৩৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাষ্ট্র-সাধনায় হিন্দু-জাতি ❖ዓ ( २ ) এই গেল বিদেশী ভারত-তত্ত্বজ্ঞদের কথা । ভারতীয় ভারত-তত্ত্বজ্ঞদের অবস্থা কিরূপ ? কেবল ভারত-তত্ত্বজ্ঞ কেন, আমাদের যে-কোনো লাইনের চরম পণ্ডিতেরাও ইয়োরোপীয় অনুষ্ঠান-প্রতিষ্ঠান, আদর্শ এবং চিন্তা প্রণালীর বিকাশ ধারা সম্বন্ধে প্রায় পূরাপুরি অজ্ঞ । কথাটা শুনাইতেছে খুবই কড়া। কিন্তু ভারতসন্তান বুকে হাত দিয়া বিগত পঞ্চাশ বৎসরের ভারতীয় পণ্ডিত্য তলাইয়া মজাইয়া বুঝিতে চেষ্টা করুন । দেখা যাইবে, —কেন এই কথাটা “ঢাক ঢাক্‌ গুড় গুড়" না করিয়া খুলিয়া বলিতে সঙ্কোচ বোধ করিলাম না । ইয়োরোপের ক্রমবিকাশ সম্বন্ধে কেতাব মুখস্থ করিয়াছেন আমাদের অনেকেই ৷ একথা অজানা নাই কাহারও । কিন্তু চাই “স্বাধীন” ভাবে “ভারতীয় স্বৰ্থে” ইয়োরামেরিকার ভূত ভবিষ্যৎ বর্তমান সম্বন্ধে গবেষণা করিবার ক্ষমতা। পশ্চিমারা যেমন “ভারত-তত্ত্ব” “প্রাচ্য-তত্ব” ইত্যাদি বিদ্যা কায়েম করিয়া নিজেদের জ্ঞান-মণ্ডল বাড়াইয়া তুলিতেছে ভারতসন্তান সেইরূপ ইয়োরামেরিকা-তত্ত্ব বা পাশ্চাত্য-তত্ত্ব গড়িয়া তুলিতে চাহিয়াছে কি ? সেই ক্ষমতা স্বষ্টি করিবার জন্য ভারতে ব্যবস্থা কোথায় ? ( V ) এই অজ্ঞতা যতদিন থাকিবে ততদিন ভারতবাসা ইয়োরোপের সঙ্গে ভারতবর্ষের তুলনা সাধন করিতে ভয় পাইবে । “বাপ রে । গ্রীস ?” “বাপ রে ! রোম ?" এইরূপ থাকিবে ততদিন ভারতীয় পণ্ডিতদের চিন্তা প্রণালীর ঢঙ । আর ততদিন ভারতবাসী ভারতীয় সভ্যতাকে “আধ্যাত্মিক” হিসাবে ইয়োরোপীয়ান সভ্যতা হইতে উচ্চতর ভাবিয়া ঘরের দুয়ার বন্ধ করিয়া