পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৩৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাষ্ট্র-সাধনায় হিন্দু-জাতি ఇవని তবে কুসংস্কারের মাত্রা বিজয়-গৰ্ব্বে অন্ধীকৃত পশ্চিমা বিজ্ঞান-মহলে এখনো অতি গভীর। “এ সব দৈত্য নহে তেমন !” “লেগেসি অব গ্রীস" অর্থাৎ “সভ্যতার ইতিহাসে গ্রীক জাতির দান” নামক সদ্য-প্রকাশিত ইংরেজি প্রবন্ধ-সঙ্কলন-গ্রন্থের মুর দেখিলে পণ্ডিত মহাশয়দের বাড়াবাড়ি বেশ স্পষ্ট বুঝা যায়। বিংশ শতাব্দীর পাশ্চাত্য ‘শহিবনিজ ম” বা হামবড়ামি এই কেতাবের আবহাওয়ায় চরম ভাবে ঘনীভূত হইয়া রহিয়াছে। এই হাম-বড়ামির দাত ভাঙিয়া দেওয়া যুবক এশিয়ার অন্যতম দায়িত্ব । রাষ্ট্র-বিজ্ঞানের তর্ক-শাস্ত্র ( S ) ஜீ বর্তমান গ্রন্থের প্রধান কথা হিন্দু রাষ্টের গড়ন । এই জন্ত রাষ্ট্রীয় লেনদেন বিষয়ক তথ্য গুলার দাম বাহির করা অবশ্য-কৰ্ত্তব্য বিবেচিত হক্টর;ছে । জীবনের গতি-ভঙ্গীর সঙ্গে এই সকল তথ্যের সঙ্গন্ধ কিরূপ ? এই প্রশ্নই লথ্যের দর-কষাকষি সমস্তার অর্থাৎ “ব্যাখ্যা”-সমস্তার অ{সল প্রশ্ন । এই খানেই তর্ক-প্রণালী বা আলোচনা-প্রণালী লইয়া ধাটা ঘঁটি করিতে হইয়াছে । ইয়োরোপের আর্থিক ইতিহাস, শাসন-বিষয়ক ধারা, আইনের বিধান সবই আসিয়া জুটিয়াঙ্গে । নৃতত্বের ছাপ, চিত্তবিজ্ঞানের প্রভাব আর দুনিয়ার আবহাওয়া এই সকল স্বত্ৰে হাজির হইতে বাধ্য। তুলনামূলক রাষ্ট্র-বিজ্ঞানের উপকরণ কিছু কিছু সঞ্চিত করা গিয়াছে। এমন কি রাষ্ট-বিজ্ঞান বিদ্যার ভূমিকা স্বরূপই এই কেতাবের বিভিন্ন অধ্যায় গৃহীত হইতে পারে । রাষ্ট-বস্তুটা কি, রাষ্ট শাসন কাহাকে বলে এই সকল কথা দফায় দফার কাটিয়া ছিড়িয়া বিশ্লেষণ করিবার দিকে দৃষ্টি রহিয়াছে।