পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৩৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন ס צס জাপানে পরিণত করা যায় কিনা সেই বিষয়ে অনুসন্ধান ও গবেষণা করা উচ্চশিক্ষিত ভারতবাসীর এক প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত। জাপানীরা শিল্পে, বিজ্ঞামে, শিক্ষায়, সমাজে, রাষ্টে যাহা কিছু করিয়াছে তাহার সমান যতদিন পর্য্যন্ত ভারতসন্তানের স্বচেষ্টায় সামলাইতে না পরিবেন, ততদিন তাহদের পক্ষে ইয়োরামেরিকার গণ্যমান্য দেশের উচ্চতর মাপকাঠি চোগের সম্মুখে রাখা মাৰ্জ্জনীয় নয় । জাপান এশিয়াকে পথ দেখাইয়া দিয়াছে । জাপানের পথে চলিতে অভ্যস্ত হইবার পূৰ্ব্বে এশিয়া ইয়েরামেরিকার সঙ্গে টক্কর দিতে পারিবে বলিয়া বিশ্বাস হয় না। কাজেই জাপান নবীন এশিয়ার জন্মদাতা এবং উৎসাহদাতা মাত্র নয়। জাপান যুবক ভারতের, যুবক চীনের, যুবক আফগানের, যুবক পারস্তের, যুবক মিশরের ও দীক্ষাদাতা এবং শিক্ষা গুরু । এই ক্ষুদ্র কেতাবে জাপানের পাহাড়, সাগর, বন, নদী, পল্লী, সহর, সবই যথাসম্ভব সিনেমা-চিত্রের মতন পাঠকদের সম্মপে ধরিবার চেষ্টা করা গিয়াছে। যাহারা “গৃহস্থ” “উপাসনা" “প্রবাসী" ইত্যাদি মাসিক পত্রে ভ্রমণবৃত্তান্তগুলা পডিয়াছেন, তাহাদের নিকট পর্য্যটকের প্রত্যেক মুহুর্তের প্রত্যেক দেখাশুনা অথবা কথাবাৰ্ত্ত নিজ নিজ অভিজ্ঞতারই অঙ্গ স্বরূপ বিবেচিত হইবে । অন্ততঃ যাহাতে এইরূপ বিবেচিত হয় সেই উদ্দেশ্যে পয্যটন-কাহিনী লিপিবদ্ধ করিয়াছি । *বর্তমান জগৎ" গ্রন্থের প্রত্যেক খণ্ডেই দেশের প্রতি এই দায়িত্ববোধ জাগিয়া রহিয়াছে। পৰ্য্যটকের ডায়েরিতে পাঠকের কখনও ভৌগোলিক ও প্রাকৃতিক দৃশু দেখিবেন, কখনও রাষ্ট্রীয় বিকাশের সমালোচনা পাইবেন, কখনও সাহিত্য