পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৪০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\OS)o নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন নয়। ১৯০০ সনের “বকসার” যুগের তুলনায় ১৯১৫-২৫ সনের যুবক চীন খুব বড় । কিন্তু ১৯১৫-২৫ সনের বর্তমান জগতে যুবক চীন নগণ্য। এই বর্তমান জগতে যুবক ভারতও নগণ্য। তবে এই দুই নগণ্যের ভিতর যুবক ভারতকে মোটের উপর আমি যুবক চীনের “বড় দা” বিবেচনা করিয়া থাকি। এ হইতেছে আবার মাপকাঠির মামলা । ইহা নিন্দ প্রশংসার কাববার নয়। কারবার হইতেছে দুঃখের আর এশিয়ার ভবিষ্যজীবন-গঠনের । সমালোচক বলিতেছেন, “চীন দেশের ভাষাতত্ত্ববিদুদিগের সাহায্য না পেলে ইয়োরোপের কিম্বা জাপানের কোনো পণ্ডিতই চীন-তত্ত্বের আলোচনায় অগ্রসর হতে পারতেন না।” প্রথমতঃ, আমি এক জায়গায় কোনো বাঙালী পণ্ডিত সম্বন্ধে “ভাষাতত্ত্ববিৎ” শব্দ প্রয়োগ করিয়াছি । সেটা শুধরাইয়া তিনি বলিয়াছেন যে, “ভাষাবিৎ বলা উচিত ছিল ।” তাহার বর্তমান উক্তিতে চীনা পণ্ডিতের ভাষাতত্ত্ববিৎ কি ভাষাবিৎ তাহা পরিস্কার নয় । যাহা হউক, দ্বিতীয় কথা হইতেছে সোজা । চীনের লোকেরা চীনা ভাষা জানে—কাজেই জাপানীরা, জাৰ্ম্মানরা, ফরাসীরা, ইংরেজরা, মায় বাঙ্গালীরাও চীনতত্ত্বে পণ্ডিত হইবার জন্ত চীনাদের সাহায্য লক্টতে বাধ্য । ইয়োরোপীয়ান পণ্ডিতেরা সেকালে আমাদের সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিতদের সাহায্য লইয়াছেন। একালেও লইতেছেন। আর বাঙলা, ওড়িয়া, মারাঠি, তামিল ইত্যাদি ভাষা দখল করিবার জন্যও তাহারা ”নেটিভ” পণ্ডিতদের সাহায্য লইয়া থাকেন। অধিকন্তু প্রাচীন পুথির পাঠোদ্ধার আর ঐতিহাসিক খনন ইত্যাদি কাজেও আমাদের ছোট-বড়মাঝারি পণ্ডিতদের সাহায্য বিদেশী পণ্ডিতদের বিশেষ কাজে লাগে। ঠিক এই ধরণেরই সাহায্য চীনারা করিতেছে । সঙ্গে সঙ্গে পুথির বিবরণ, চীনা বইয়ের তর্জমা ইত্যাদি কাজ কিছু কিছু চীনাদের নামেও বাহিরু