পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৪১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\●ვ® নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন ভারত-ধর্থের প্রতিমূৰ্ত্তি নয় কি ? পূৰ্ব্বই বা কোথায় ? পশ্চিমই বা কোথায় ? তুলনামূলক সমাজ-বিজ্ঞান এঙ্গেলসের গ্রন্থ ভারতীয় সমাজে প্রচারিত হইলে ভারতবাসী নিজ নিজ স্মৃতি-নীতি-ধৰ্ম্ম-অর্থ-কাম-মোক্ষশাস্ত্রগুলার দিকে এক নূতন চোখে দৃষ্টিপাত করিতে সুরু করিবে । ভারতের ভূত, ভবিষ্যৎ, বর্তমান সম্বন্ধে যুবক-ভারত বহু বুজ রুকি এবং কুসংস্কার বর্জন করিতে শিখিবে। তুলনামূলক সমাজ-বিজ্ঞান-বিদ্যা কিছু কিছু করিয়া ভারত-সন্তানের পেটে পড়িতে থাকিবে । মর্গ্যান, মার্কস, বা এঙ্গেলস কাহারও মত বা বাণীই বেদবাক্য নয়। সকলের কথাই তথ্যের জোরে কষিয়া দেখা আবশ্যক। কিন্তু ইহাদের রচনায় উনবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় অদ্ধের সমাজ-চিন্তা পুষ্ট হইয়াছে । এখনো এইগুলার দাম বিজ্ঞানের বাজারে ঢের । এই কারণে ভারতসন্তানের পক্ষে এইগুলা জানিয়া রাখা দরকাব । ১৯২৪ সালের পূৰ্ব্বে এঙ্গেলসের গ্রন্থ বাংলায় অনূদিত হয় নাই, ইহা লজ্জার কথা। এই ধরণের আরও অনেক গ্রন্থ এতদিনে বাংলা ভাষায় পাওয়া উচিত ছিল । বিগত অৰ্দ্ধ শতাব্দীতে “প্রাচীন সমাজ” সম্বন্ধে বহু গবেষণা হইয়াছে। সম্প্রতি কয়েক বৎসর ধরিয়া নিউইয়র্কে এই সকল গবেষণার ফল নানা গ্রন্থে প্রচারিত হইতেছে ( ১৯২০-২২ )। রবার্ট লোহিব, আর্থার গোল্ডেনহাইজার এবং প্লিনি গডার্ড, এই তিন জন লেখকের রচনাবলী পাঠ করিলে মর্গ্যানের পরবর্তী কালের সকল সিদ্ধান্ত ইংরেজিতে পাওয়া যায়। সেই সকলের চুম্বক-প্রকাশ এই ভূমিকায় চলিতে পারে না ।