পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৪১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՎԶԳԵ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন করিত— এই কথা বিশ্বাস করা আমাদের উনবিংশ শতাব্দীর পণ্ডিতগণের পক্ষে সম্ভবপর হয় নাই । তাহারা ছিলেন বোধ হয় প্রায় সকলেই ইতিহাসের “আত্মিক ব্যাখ্যার” ধুরন্ধর, অধ্যাত্মবিদ্যার পাড় বিশেষ । সভ্যতার এবং মানব-জীবনের একবগ্গা আত্মিক ব্যাখ্যা পাশ্চাত্য মুল্লুকেও বহুকাল চলিয়াছে। পাশ্চাত্য পণ্ডিতদের বুখ নিটাই বোধ হয় ভারতীয় সমাজ-সংস্কারক এবং ইতিহাস-লেখক-মহলে অতিমাত্রায় প্রচলিত হইয়াছিল। এই একবগণা আত্মিক ব্যাখ্যার উপর চাবুক লাগানো হইয়াছে ১৯১৪ সালে প্রকাশিত মৎপ্রণীত “পজিটিভ ব্যাকগ্রাউণ্ড অব হিন্দু সোসিঅলজি" ( অর্থাৎ হিন্দু সমাজ-তত্ত্বে । বাস্তবভিত্তি ) নামক গ্রন্থে ( পাণিনি-কাৰ্য্যালয়, এলাহাবাদ ) । এই গ্রন্থের দ্বিতীয় খণ্ডের প্রথম ভাগ বাহির হইয়াছে ১৯২১ সালে । ভারতীয় মানুষের ক্ষিধে পায়, ভারতীয় মানুষ হাওয়ায় উড়িয়া বেডায় না, পায়ে হাটিয়া চলে, ভারত য় মানুষ জমি-জমা লইয়া মার:মারি করে, ভারতীয় মান্তষ লড়াই করিয়া যুদ্ধ-ক্ষেত্রে প্রাণ দিতে চায়, ভারতীয় মানুষ "একাতপত্রং জগত: প্রভুত্বং” কামনা করে, ভারতীয় মাতুয় সঙ্ঘবদ্ধ হইয়া সমাজ ও রাষ্ট্র শাসন করে, ভারতীয় মানুষ স্ত্রী-পুত্রের জন্য সম্পত্তি সঞ্চয় করিয়া ভবিষ্য সুখস্বচ্ছন্দতার বিধান করিতেও অভ্যস্ত,—এই সকল অতি মামুলি বস্তু এই গ্রন্থের তথ্য : "ট্রান্সেণ্ডেণ্টাল” বা অতীন্দ্রিয় তরফ টাকে ফুলাইয়া তুলিলে হিন্দুজীবন, হিন্দুত্ব, প্রাচ্য ধৰ্ম্ম, প্রাচ্যের সভ্যতা বুঝিতে পারা যাইবে না । ইতিহাসরচনায় প্রচলিত “অতীন্দ্রিয়ামি” বা “আধ্যাত্মিকামি"র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মুরু করিবার জন্তই ভারতীয়দের বাস্তবনিষ্ঠা প্রদশিত করা হইয়াছে। ফরাসী দার্শনিক কঁৎ-প্রবর্তিত “পজিটিভ” শব্দের দ্বারা গ্রন্থের পরিচয়