পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৪৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“বর্তমান জগৎ?-রচনার আবহাওয়া ᏬbᏉᎽ লেখকের ট্যাকে যদি পয়সার জোর থাকে আর বইটা যদি টেক্সট বুকরুপে "চলনসই হয় অথবা ঘটনাচক্রে বইটা যদি বিক্রী করা সম্ভবপর হয়, তাহা হইলে বিদেশী প্রকাশকেরা ভারতীয় গ্রন্থকারদের বই ছাপিতে বেশী ইতস্ততঃ করে না—ভারত-বিদ্বেষ থাকা সত্ত্বেও। তবু আজ পয্যন্ত বিদেশে-ছাপা ভারত-সন্তানের বইয়ের সংখ্যা খুবই কম। বষ্ট ছাপাছাপি, অনেকটা একপ্রকার নিছক ব্যবসার কথা । কিন্তু পত্রিকায় প্রবন্ধ-প্রকাশ পয়সার থেলা নয়, এক্ষেত্রে প্রধানতঃ খাটি বৈজ্ঞানিক কিন্মৎ অপর দিকে খাটি ভারত-বিদ্বেষ এই দুই শক্তির লড়াই চলিয়া থাকে । এই লড়াইয়ে ভারতবাসীব কিছু কিছু বিজয়লাভ নেহাৎ সেদিনকার কথা মাত্র । যার যেখানে যতটুকু শক্তি বা সুযোগ আছে, তার সেটুকুর সদ্ব্যবহার করা কর্তব্য । যুবক ভাবতের লেখক-বক্তা-পণ্ডিতদিগকে ইয়োরমেরিকার “উচ্চতম” প্রতিষ্ঠানে আর “উচ্চতম’ পত্রিকায় ভারতীয় মাথার ধী জাহির করিবার জন্ত ব্ৰতবদ্ধ করা আমি স্বদেশ সেবার এক বিপুল অঙ্গ বিবেচনা করিয়া থাকি । বৰ্ত্তমান জগতেৰ উপযোগী “বৃহত্তর-ভারত” গড়িয়া তুলিবার কাজে এইরূপ মগজের অভিযান অন্যতম খুটি । ভুলিয়ার পর্য্যটন-সাহিত্য ( > . একালের দুনিয়ায় পৰ্য্যটকদের ভিতর সাহিত্য-সংসারে যে কয়জন লেখক নং ১ শ্রেণীর অন্তর্গ সুইডেনের সবেন হেডিন, ফ্রান্সের প্যের লতি আর ইংল্যণ্ডের নাথানিয়েল কার্জন অন্ততম । ঘটনাচক্রে এই তিন জনই এশিয়া-পৰ্য্যটক আর এশিয়া-বিষয়ক সাহিত্যের স্রষ্টা। উনবিংশ আর বিংশ শতাব্দীতে পর্য্যটকদের সংখ্যা অগণিত, আর