পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৪৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“বর্তমান জগৎ"-রচনার আবহাওয়া ○ぬ。 ছিলাম । ভারতাত্মার প্রতিনিধি স্বরূপ কোথাও বা এক টুকরা পাথর, কোথাও বা এক ছটাক মুরকি, কোথ ও বা একটা কড়ি বা বর্গ, কোথাও বা একটা ছোট কুড়ে ঘর রাখিয়া আসিয়াছ । আজকাল এইদিকে অন্যান্তের দৃষ্টি ও কিছু কিছু পড়িতেছে জগতের নানাস্থানে এইরূপ সমবেত চেষ্টায় একটা বৰ্ত্তমান যুগের “বৃহত্তর ভারত" গড়িয়া উঠিতেছে । এই “বৃহস্র ভাবতে'র দৃঢ় ইমারত তৈয়ারি করিবার জন্য যুবক বাঙলা হুইতে দলে দলে প্রবাসাভিযান সুরু হউক । ভারত-সন্তান কোথাও নেহ{ৎ আত্মীয়-হীন বন্ধুবান্ধব-হানরূপে জীবন যাপন করিতে বাধ্য হইবে মা, এহরূপ বিশ্বাস করিবার মতন সাহস রাখি । শিক্ষাবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান ও ধনবিজ্ঞান ১৯০৫-৭ সনের আবহাওয়ায় সুর করিয়ছিলাম “শিক্ষাবিজ্ঞান”-. সাহিত। তাহার পরিকল্পনায় নব-প্রস্থত যুবক বাঙলার উৎসাহ, * ভাবুকতা ও সৎসাহস মুক্তি পাইয়াছিল । ঘটনাচক্রে তাহাকে পরিণতির দিকে লইয়া আসিবার স্বযোগ ও সময় জুটে নাই । অধিকন্তু এই বিশবাইশ বৎসরের ভিতর আসল কৰ্ম্মক্ষেত্রে সেই শিক্ষাবিজ্ঞানের যথোচিত যাচাইয়ের সুধোগ জুটিয়াছে বণিয়া বিশ্বাস করিতে পারি না । যাহাহউক, এই অসম্পূর্ণতার কথা সৰ্ব্বদা মনে পড়িতেছে। তাহার পর ১৯১৩ সনে সংস্কৃত “শুক্রনীতি"র ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশিত করি। তখন হইতে তুলনামূলক ইতিহাস, সমাজ-তত্ত্ব আর রাষ্ট্রনীতির নানা মহলে অনুসন্ধান-গবেষণা আর পঠন-পাঠন চলিতেছে । এশিয়ার আর হয়োরামেরিকার একাল-সেকাল এক সঙ্গে আলোচনা করা এই সকল ইংরেজি, বাঙলা, ফরাসী ও জাৰ্ম্মাণ রচনাবলীর উদ্দেশু।