পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৪৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদেশ-ফের্ভার অত্যাচার 8 so যোগ নাই । আর ইতালিয়ানের সঙ্গে জাৰ্ম্মাণের সম্বন্ধ ধর্তব্যের মধ্যেই গণ্য নয়। ফরাসী ও ইতালিয়ানকে যদিও দুই ল্যাটিন "বোন” বলা হইয়া থাকে, তথাপি ফরাসী-জানা লোকের পক্ষে ইতালিয়ান পড়িতে হইলে প্রত্যেক লাইনে তিনবার করিয়া অভিধান খুলিতে হয় । ভাষা-বিজ্ঞানের নজির দেখাইয়া, ব্যাকরণের তুলনা চালাইয়া, শব্দের ংখ্যা গুণিয়া ইংরেজি, ফরাসী, জাৰ্ম্মাণ ৪ ইতালিয়ান এই চার ভাষায় “বৈজ্ঞানিক আত্মীয়তা” প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব । এ কথা অস্বীকার করি না । কিন্তু ভাষা শিখিবার মেহনৎ যখন চোখের সম্মুখে উপস্থিত হয় তখন বলিব যে, ইংরেজি-জানা ভারত-সন্তানকে অপর তিনটা ভাষার জন্ত তিন তিনবাব নতুন করিয়া গলদঘৰ্ম্ম হইতে হয়। ধরা যাউক, কোনো ব্যক্তি ফ্রান্সে দেড়, দুই বা তিন বৎসর কাটাইল । আর ফরাসী ছাড়া অন্য কোনো ভাষার দিকে সে নজর দিল না । তথাপি সে ফরাসী ভাষায় নিতুল চিঠি বা প্রবন্ধ লিখিতে পারিবে কি না সন্দেহ । আটপৌরে কথাবাৰ্ত্ত চালান কঠিন নয়। কিন্তু যে হাটে দশ বার জন ফরাসী নর-নারী কোনো “অপরিচিত" বিষয়ে খোসগল্প চালাইতেছে সেই হাটে বসিয়া তাহদের রসে যোগদান করা সহজ বিবেচিত হইবে না । ( t ) তবে একমাত্র ভাষা শিক্ষা করাই যদি মতলব থাকে তাহা হক্টলে কথা স্বতন্ত্র । অথবা এমন কি, যদি ভারতীয় তরুণ-তরুণীর বয়স বিশ বাইশের বেশী না হয় এবং অন্তান্ত কাজের চাপ কম থাকে তাহা হইলে নতুন দেশে বসবাসের ফলে বিদেশী ভাষাটা “রপ্ত” করা অসাধ্যসাধন বিবেচিত হইবে না। কিন্তু যে সকল ভারতবাসী ত্রিশ বত্রিশ বৎসর বয়সে বিদেশে আসেন এবং নানা ধান্ধা মাথায় লইয়া আসেন তাহারা দেড় দুই