পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৫০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8も8 নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন তথাকথিত জাতি-ভেদ, জাতীয় বিশেষত্ব জাহির করা চলে না। বস্তুনিষ্ঠ ইতিহাস বলছে,—কি ভারতে কি ভারতের বাহিরে,—রক্তমাংসের বাণী নিম্নরূপ — জন্মেছি এই ধরায় আমি রক্তমাংসের শরীর পেয়ে, শ্রেষ্ঠধৰ্ম্ম জানিনা আর দুনিয়াটা ভোগ করার চেয়ে । চায় দুনিয়া আমায় শুধু, চাই আমিও কেবল তারে, অামায় ছেড়ে অন্ধ সমান ঘুরবে যে সে অন্ধকারে । ত্যাগ-সংযম-ব্রহ্মচয্য শক্তিলাভের যন্ত্র এ সব, ভোগ করি এই শক্তি-থলে বীরের মত ধরার বিভব ! রূপের ধরিত্রী, রসের সাগর, শব্দের আকাশ, গন্ধের বায়, আর স্পশের তড়িং এরা সবাই মিলিয়া চাঙ্গা করে’ মোর প্রাণ বাড়ায় । যতক্ষণ প্রাণ চাঙ্গা আমার ততক্ষণই যে অমর আমি হরদম আসুক নয়া নয়া উত্তেজনা আর পাগলাম । তপ্ত তাজা রক্তে আমার উঠুক সারা অঙ্গ ভরে’ জীবনটা চাই হাতপা এবং চোখ নাকে যে রাখতে ধরে’ । ভরা প্রাণের অশেষ খেয়ালে গড় ব লাখ লাখ, ধৰ্ম্মনীতি দুনিয়া-সুন্দরী বরূবে আমায় ভগবান আর প্রাণের পতি । এই শক্তিযোগ আমাদের ভারতের অন্ততম স্বধৰ্ম্ম । আপনারা সকলেই জানেন, কালিদাস লোকটা যখন কবিতা লিখতে বসল তার মেজাজে যে সব কথা বেরুল তার ভিতর দিগ বিজয় হচ্ছে খুব মোটা । “আসমুদ্রক্ষিতীশানামানাকরথবষ্ম নাম লোকজনের তারিফ হচ্ছে তার মহাকাব্য । সমুদ্র গুপ্তের কবি হরিষেণ বোধ হয় রক্তমাংসের স্বধৰ্ম্মপ্রচার হিসাবে কালিদাসকেও নকড়া ছকড়া করে ছেড়েছে, তার মেজাজে রক্ত