পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৫০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8○○ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন তেমনি ফরাসীরা দেবতাও নয় জানোয়ারও নয়, মানুষই বটে। আমাদের দেশে কতকগুলি দোষ আছে অস্বীকার করি না। কিন্তু এই সব দোষ, দুৰ্ব্বলতা ইত্যাদি কি তাদের দেশে ছিল না ? না আজও নাই ? আমি ফরাসী মুচী-মজুরদের ঘরের কথা জানি। ইতালীর আর জাৰ্ম্মণীর পল্লীতে পল্লীতে গিয়ে,—একদিন দুদিন নয়, অনেক দিন,—যারা ভাই বলে ডেকেছে তাদের ঘরে খেয়েছি, রয়েছি, আত্মীয়তা করেছি। মধ্যবিত্ত, উচ্চশ্রেণী, কেরাণী, ব্যাঙ্কার, মাষ্টার ইত্যাদি সকলের সঙ্গেই ভাব হয়েছে । ফরাসী মেয়ে, মাকিণ মেয়ে, এমন কি ইংরেজের মেয়ে পৰ্য্যন্ত, যার মফঃস্বলের ছোটখাট শহরে বাস করছে—তারা কি ধরণের জীব ? একটি করে খোচা মেরে একটুখানি রক্ত বের করলে দেখা যায় যে, সেই মধ্যযুগের মানব আজও ইঘোরামেরিকায় প্রচুর পরিমাণে বিরাজ করছে। অর্থাৎ সাধারণতঃ তারা নামজাদ লোক দেখলে টুপী নামিয়ে সেলাম করে। মেয়ে জাত পুরুষের সঙ্গে স্বাধীনভাবে টক্কর দিতে সুরু করেছে মাত্র পচিশ-ত্রিশ বৎসর হ’ল । এই জিনিষটাকে মেয়েদের রক্তমাংসের সঙ্গে মিশাতে এথনো কত বৎসর লাগবে কে জানে ? ফ্রান্সজাৰ্ম্মাণী-আমেরিকা-ইংলণ্ডের পল্লীর সাবডিভিশানের মেয়ে আর আমাদের পল্লীর যারা অশিক্ষিত মেয়ে, তাদের মা-বাপ পৰ্য্যন্ত, স্বামী-ভাই পৰ্য্যন্ত সবাই প্রায় একই রীতিতে চলে আসছে। রাষ্ট্রনৈতিক স্বাধীনতায় এ সব দেশ যতই উন্নত হউক না কেন, এখন পর্যন্ত সেই মধ্যযুগের ধারা এই সকল উন্নত দেশে চলে আসছে, যে ধারাকে আমরা তথাকথিত হিন্দুত্ব নামে পুষ তে অভ্যস্ত । আমাদের &য মন্দির তার ভিতর ষে ভক্তিভাব, ভগবৎ আরাধনা আর আধ্যাত্মিক প্রবৃত্তি দেখতে পাই, সেই সব জিনিষ ইয়োরোপের পল্লীতে তার চেয়ে কম দেখতে পাই না। তাদের সাধু-ফকিরদের ভিতর এমন