পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৫১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 e নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন রাত্রি বারটা একটা পৰ্য্যস্ত কাজ করেছি। দেশে থাকবার সময় যতটুকু বা যা-কিছু করেছি বিদেশেও নিত্যকৰ্ম্মপদ্ধতি বিলকুল ছিল তাই । ভোর ৫টার সময় উঠেছি। সকাল ৬টা থেকে রাত্রি ১২টা পৰ্য্যস্ত সব কয়টা ঘণ্টাই কাজে ভরা। মিউজিয়াম-ল্যাবরেটরি-লাইব্রেরি-ব্যাঙ্ক-কারখানায় ঘুরাফিরাই হউক, কি বই মুখস্তই হউক, কি কলম পেষাই হউক, কি লিখিয়ে-পড়িয়ে মণ্ডলীর সঙ্গে আলাপ-আলোচনাই হউক, কি জননায়কস্থানীয় নরনারীর সঙ্গে দহরম-মহরমই হউক, কি আর কোনো কাজ-কৰ্ম্মই হউক, প্রতি মুহূৰ্ত্ত আমি মনে রেখেছি যে যুবক বাংলার সামান্ত অগ্নিস্ফ লিঙ্গ আমি। প্রতি মুহূৰ্ত্ত আমাকে সৰ্ব্বত্র যুবক বাংলার আর যুবক ভারতের জন্ত কৰ্ম্মক্ষেত্রে ঢু ঢ়ে বের কৰ্ত্তে হয়েছে । জগতের ডিহিতে ডিহিতে বর্তমান যুগের উপযোগী একটা "বৃহত্তর ভারত” গড়ে তোলা রয়েছিল আমার এক বিপুল ধান্ধা । ১৯৩০-৩৫ সনের সেবtধৰ্ম্ম আমার কাজ ছিল ভারতের ১৯৯৫৬ সনকে ১৯১৫১৬ সনের উপযুক্ত করে দেওয়া । তারপর ১৯১৫।৬ সনকে ১৯২৫৷২৬ সনের উপযুক্ত করে’ তোলা ছিল আর এক কাজ । আজ আমার কাজ হচ্ছে ১৯২a1২৬ সনের যুবক ভারতকে ১৯৩•৩৫ সনের উপযুক্ত করে দেওয়া। চাকর ভাবে গিয়েছি, চাকর ভাবে ফিরে এসেছি। চিরকালই, সৰ্ব্বত্রই আমি বাংলার সেবক । আজকাল আপনারা কেহ কেহ সন্দেহ করছেন যে, আমি আহাম্মুকের মত কথা বলে থাকি । “পাশ্চাত্য” “পাশ্চাত্য” করে আবল তাবল বকৃছি। আমি বলতে চাই,—জন্ম অবধি আমি পাশ্চাত্যের অম্বুরাগী। সে কথা অজানা নয় আপনাদের । বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষদ অনেক দিন আগে আমার একখানা বই ছেপেছেন । সেটা আপনাদের ৩৫ নম্বর