পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( αν ) শতাব্দীর “রেণেস স” বা নবাভু্যদয় পৰ্য্যন্ত আর অন্তান্ত বিষয়ে অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ ভাগের শিল্প-বিপ্লব পর্যন্ত প্রাচ্যের ধরণ-ধারণে আর পাশ্চাত্যের ধরণ-ধারণে কেনো প্রভেদ ছিল না । যে ধরণের তথাকথিত প্রভেদ দেখানে একালের সুধীসমাজের দস্তুর তাহার কোনো ইতিহাস-প্রতিষ্ঠিত ও বস্তুনিষ্ঠ ভিত্তি নাই । “বিদেশে বসবাসের সময়ে নানা কেন্দ্রের লব্ধ-প্রতিষ্ঠ বিশ্ব-বিদ্যালয়, পণ্ডিত-সঙ্ঘ ও পরিষৎ-পত্রিকার পরিচালকগণের নিকট হইতে মানবসভ্যতা বিষয়ক আমার প্রচারিত এই নূতন ব্যাখ্যা-প্রণালী সম্বন্ধে বক্তৃতা করিবার ও প্রবন্ধ লিখিবার স্বযোগ জুটিয়াছে।” খুটিয়া খুটিয়া “দফায় দফায়” বিশ্লেষণ, গভীরতর আলোচনা, “ইন্টেনসিভ ইনভেষ্টিগেশুনস ইত্যাদি শব্দে বিনয়বাবু যাহা বুঝিতেছেন, তাহার সর্বপ্রথম পরিচয় তাহার অনুষ্ঠিত সংস্কৃত শুক্রনীতির অনুবাদ ( ১৯১২-১৩ ) এবং এই অনুবাদের ভূমিকা স্বরূপ “পজিটিভ, ব্যাকগ্রাউণ্ড অব হিন্দু সোসি অলজি’ ( হিন্দু সমাজ তত্বের বাস্তব ভিত্তি, ১৯১৩-১৪ ) নামক গ্রন্থ রচনা । বই দুইটা তাহার দেশে থাকিতে থাকিতে বাহির হইয়াছিল । প্রাচ্যে—পাশ্চাত্যে সাম্যসাদৃশ্য-বিষয়ক যে মত এই “নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন” গ্রন্থে জোরের সহিত প্রচারিত হইতেছে সেই মত তিনি বিদেশ হইতে আমদানী করেন নাই। স্বদেশেই এই মতের স্বত্রপাত। সংস্কৃত সাহিত্যই, হিন্দুর নীতিশাস্ত্রই বিনয়বাবুকে প্রাচ্যে-পাশ্চাত্যে সাম্যসাদৃপ্তের খুঁটাগুলা আবিষ্কার করিতে উদ্ধ দ্ব করিয়াছে। পরে ভূয়োদর্শনের ফলে এবং ঘটনাচক্রে দেশ-বিদেশের নর-নারীর সঙ্গে নিবিড় ও বিস্তৃত লেনদেনের ফলে এই মত আরও পুষ্ট হইয়া বর্তমান আকারে দেখা দিয়াছে।