পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ૭૨ ) ভারতের চেয়ে অল্প মাত্র উন্নত। খানিকটা তাহারই ভাষায় গ্রন্থকারের মোটা কথা এইরূপ । বৈদেশিক বিজ্ঞান-পরিষদে সম্বন্ধন

  • নয়া বাঙ্গলার গোড়াপত্তন” গ্রন্থের রচয়িতাকে কোনো নির্দিষ্ট এক “বিস্তার বেপারী” বিবেচনা করা সম্ভবপর নয়। তিনি বিজ্ঞান-সেবক হিসাবে বিদ্যারাজ্যের বহু শাখা-প্রশাখায় গবেষণা করিয়াছেন ও করিতেছেন। এই সকল গবেষণা দেশবিদেশের উচ্চতম সুধী-পরিষদে এবং পরিষৎ-পত্রিকায় সমাদৃত হইয়াছে। তাহাতে বাঙ্গালীর, ভারতবাসীর এবং এশিয়াবাসীর ইজ্জংও বাড়িয়ছে । বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা আর বিদেশী পত্রিকায় প্রবন্ধ-প্রকাশের সন তারিখ গুলা লক্ষ্য করিলেই বুঝা যাইবে যে, বাস্তবিক পক্ষে বিনয় বাবু অনেক ক্ষেত্রেই পথপ্রদর্শক এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে আজ পর্য্যন্ত তিনিই একমাত্র বাঙ্গালী, ভারতসন্তান অথবা এশিয়ান ।

১৯১২ সনে বিলাতের লংম্যানস, কোম্পানী কর্তৃক লণ্ডনে তাহার এক বই প্রকাশিত হয় । বিদেশে গ্রন্থ-প্রকাশ বিষয়ে তিনি ভারতের অন্যতম অগ্রণী । তখন তাহার বয়স ২৫ বৎসর মাত্র । লংম্যান্য কোম্পানী র্তাহার লেখা চারখানা বই প্রকাশ করিয়াছেন । ১৯১৫–১৬ সনে তিনি রয়্যাল এশিয়াটিক সোসাইটির নর্থ চায়ন ব্র্যাঞ্চ কর্তৃক বক্ততার জন্য আহুত হন । বক্ততাবলী গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হইয়াছে। পূর্বেই বলা হইয়াছে তিনি এই সোসাইটির আজীবন সভ্য নিৰ্ব্বাচিত হইয়াছেন । ১৯১৭ সনে নিউ ইয়র্কের স্কুল অ্যাণ্ড সোসাইটি” পত্রে এবং ১৯১৮ সনে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় হস্ততে প্রকাশিত “ইণ্টাৰ্ণ্যাশন্তাল জার্ণল অব