পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ७१ ) ‘বাহ বস্তুর সহিত মানব প্রকৃতির সম্বন্ধ বিচারে' নাই, “অনুশীলনতত্ত্বে’ নষ্ট, ‘ভক্তিযোগে নাই, বোধ করি আর কোথাও নাই।” ( ১৩ ই | ( פ ג'ס ל \>}its: বঙ্গয় সাহিত্য পরিষৎ কর্তৃক অনুষ্ঠিত বিনয়কুমার-সম্বৰ্দ্ধনার উপলক্ষ্যে ( ১৯২৭ ) মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রীও রামেন্দ্র সুন্দর আর অক্ষয় চন্দ্রের বাণী উদ্ধত করিয়াছেন। বাংলা সাহিত্যে ও বাঙ্গালী সমাজে বিনয়বাবুর স্থান সম্বন্ধে হরপ্রসাদ যাহা বলিয়াছেন তাহা দেশবাসীর অনেকেরই অন্তরের কথা (পরিশিষ্ট ২ দ্রষ্টব্য) । “নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন’ সম্বন্ধে আমরা শুধু এইটুকু বলিতে চাই যে, রামমোহনের “নয়া বাঙ্গলা"র পর বিদ্যাসাগর-মধুসুদন-বঙ্কিম-ভূদেবের নয়া বাঙ্গলা গড়িয়া উঠিয়াছিল। একালে বিবেকানন্দ ও রামেন্দ্রসুন্দর সেই ভিত্তির উপর যে “নয়। বাঙ্গলা” গড়িতেছিলেন বর্তমান গ্রন্থকারের “নয়। বাঙ্গলা” বাঙ্গালীর জীবন-ধারায় তাহারও পরবর্তী ধাপের ইঙ্গিত প্রদান করিতেছে । বিনয়বাবুর সঙ্গে আমাদের প্রকাশ-ভবনের একটা ব্যক্তিগত সম্বন্ধও আছে। সেই স্বদেশীর যুগে আমরা যখন বইয়ের দোকান খুলিতে অগ্রসর হই তখন তাহাকে আমাদের অন্তরঙ্গ বন্ধুবর্গের অন্যতমরূপে পাইয়াছিলাম। আজ বিশ বাইশ বৎসর পরে তাহার লেখা "নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন” আমাদের তদবিরেই বাহির হইল এই জন্য আনন্দ বোধ করিতেছি। কলিকাতা, ১০ই মে, ১৯৩২