পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবীন তুনিয়ার সূত্রপাত ఏ

  • -*|^=*= **

আমেরিকা ইত্যাদি মুল্লুকে গবেষণা-ভবন, অমুসন্ধানালয়, পরীক্ষা-গৃহ, রিসার্চ-ইন্‌ষ্টিটিউট ইত্যাদি নামের জ্ঞান-বিজ্ঞান-কেন্দ্র বিপুল আকারে মাথা তুলিতেছে। এইগুলির কোনো কোনোটা ঠিক যেন এক একটা স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মূৰ্ত্তি গ্রহণ করিতেছে । কয়লা, বিদ্যুৎ, গ্যাস, চামড়া, চিনি, কাচ, দুধ, তুলা, রেশম ইত্যাদি প্রত্যেক বস্তু লষ্টয়াই অতি উচু দরের ল্যাবরেটরি, কৰ্ম্মশালা বা পরীক্ষণ-কেন্দ্র গড়িয়া উঠিয়াছে। আর এই সমুদয়ের তদারক করিবার জন্ত ডজন ডজন পাকা মাথা চব্বিশ ঘণ্টা মোতায়েম আছে । এ সব পয়সার খেলা সন্দেহ নাই। ক্রের ক্রের টাকা পশ্চিমা নরনারী এই সকল রিসার্চ ইনষ্টিটিউটে ঢালিতেছে। এই সমুদয়ের সাহায্যে দুনিয়ায় বিজ্ঞানের উন্নতি দেখা যাইতেছে, দেশে দেশে আর্থিক উন্নতিও ঘটতেছে। লোকের চোখ কান খুলিয়া সতেজে সজাগ ভাবে চলা ফেরা করিতেছে । জগৎথানাকে লইয়া ভাঙা-গড়ার আনন্দ উপভোগ করা পশ্চিমা সমাজের অলিতে গলিতে দেখিতে পাইতেছি । বিদ্যার জোরে “অমৃত” চাখা যদি কবি-কল্পনা মাত্র না হয় তাহা হইলে ১৯১৯-২০ সনের পুনর্গঠিত ইয়োরামেরিকা যে নবীন অমৃতের সন্ধানে রণ-যাত্রা করিয়াছে সেই অমৃতের নিকট পূৰ্ব্ববৰ্ত্তী শত বৎসরের অমৃত নেহাৎ “পান্সা” বা “ফিকে” কিম্বা “দুধের বদলে ঘোল” মাত্র বিবেচিত হইবে । সেই নয় অমৃতের আর আধ্যাত্মিক জীবনীশক্তির আন্দাজ পৰ্য্যন্ত করা আজকালকার যুবক-ভারতের পক্ষে অতিমাত্রায় কঠিন বলিলেও কিছু নরম করিয়া বলা হইবে । যুবক-ভারতও জ্ঞান-বিজ্ঞানের সীমানা বাড়াইবার আন্দোলনে কিছু কিছু হিন্ত লইতে স্থর করিয়াছে। একথা অস্বীকার করিবার প্রয়োজন নাই। কিন্তু এই হিসাবে ১৯২৫ সনের দুনিয়ায় আমরা মোটের উপর ১৮৫০ সনের অবস্থায় আছি কি ১৮৭০-৮৫