পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবীন দুনিয়ার সূত্রপাত `ව ঘামায় না। তবে ১৯২২–২৩ সনের পর এই কাড়াকড়ি কাগু থামিয়াছে। কিন্তু জাৰ্ম্মাণ আর ইংরেজ গবর্ণমেণ্ট জমিদারদিগকে জমি জমা বেচিতে বাধ্য করে বটে, কিন্তু “কথঞ্চিং" উচিত মুল্যে এই সকল জমির দাম দিতে গররাজি নয়। যুবক-ভারত এই জাৰ্ম্মাণ-ডেন-বিলাতী আইনগুলা ঘাটিয়া দেখিতে প্রবৃত্ত হইবে কি ? এই সব ব্যবস্থা আমাদের দেশে কায়েম হইতে এখনো অনেক দেরি । তবে “কত ধানে কত চাল” বুঝিয়া রাখাটা মন্দ নয় । নারী-নমস্তার একটা খুটা তুলিয়া বৰ্ত্তমান আলোচনা শেষ করিব । পাশ্চাত্য সভ্যতার সজীবতা হাতে হতে ধরা পড়িবে | ভারতে আমর! আজও বিধবার অবস্থা বিশ্লেষণ করিতে বসিবামাত্রই "ভূয়ো যথা মে জননান্তরেইপি ত্বমেব ভৰ্ত্তা ন চ বিপ্রয়োগঃ” ইত্যাদি জন্মজন্মান্তরের স্বামী-স্ত্রীব অনন্ত সম্বন্ধটা কল্পনার চোখে দেখিয়া ফেলি । আপত্তি নাই । হয়ে রামেরিকার রোমান ক্যাথলিক-পন্থী বিধবারাও লাখে লাখে,—এতদূর চরম মাত্রায় না হউক—অনেকটা এই “অদশেই” জীবন গড়িয়া চলিতে অভ্যস্ত। বিধবার বিবাহ ঐ সকল সমাজে নিন্দনীয় নয়, কিন্তু তাদের অনেক বিধবাই সুধে{গ সত্ত্বে ও পুনরায় বিবাহ করে না । কিন্তু একমাত্র এই আদর্শ ই” বিধব-জীবনের সৰ্ব্বস্ব নয় । বাস্তব জীবনের তরফ হইতে বিধবা সমস্তার মীমাংসা অনেকখানি সাধিত হইতে পারে। পশ্চিমারা তাহা করিয়াছেও । এই মামাংসাটা বৰ্ত্তমান অবস্থায় ভারত-সন্তানের মাথায় প্রবেশ করা কঠিন । তবে প্রণালীটা যে অতি সহজ সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নাই । আমাদের দেশে যে সকল লোক গবর্ণমেণ্টের চাকুরী করে, একমাত্র তাহারাই বুড়া হইবার পর মৃত্যু পৰ্য্যন্ত বিনা কাজেই "পেন্‌গুন” পায় । অন্তান্ত কৰ্ম্মকেন্দ্রে যে সকল লোক কেরাণী বা কৰ্ম্মকৰ্ত্তা তাহাদিগকে