পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミや নয়া বাঙ্গলার গোড়া-পত্তন যাইবে । লম্বা চওড়ায় বহর তাহার এই কলেজ স্কোয়ার হইতে সেনট্রাল অ্যাভিনিউ। ইহার বিপুলকায় বাড়ীগুলি দেখিতে দেখিতে চোখে ছানাবড়া লাগিয়া যায়। তারপর আমেরিকার কথা । ইয়োরোপের বড় বড় দেশে কোটী কোটা লইয়া কারবার ; কিন্তু আমেরিকার আর কোটতে কুলায় না । সেখানে অৰ্ব্বদ অৰ্ব্ব দ! সে দেশের এক ডলার আমাদের তিন টাকার উপর। তাহার পিছনে আবার কেবল শুষ্ঠ। চেক কাকে বলে এই আমেরিকায় তাহা বুঝা যায়। এখানে পাচসিকা, এমন কি পাচ গণ্ড৷ পয়সার সওদায়ও চেক চলে। “পানওয়ালী”, “বিড়িওয়ালা", মুচি ইহাদের পয়সাকড়ি পর্য্যন্ত চেকে দেওয়া যায়। এমনিতর আজগুবি দেশ এই আমেরিকা । চেক-খালাসে ভারত ও জুনিয়া ভারতে আজকাল ৭টা “ক্লীয়ারিং হাউস” বা চেক-খালাস-ভবন চলিতেছে। কলিকাতা, বম্বে, মান্দ্রাজ, করাচি ও রেঙ্গুন এই পাচ সহরে এতদিন পাচটা ছিল । ১৯২০ সনে কানপুরে একটা আর ১৯২১ সনে লাহোরে একটা প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। ১৯২০ সনে ৩১,৪৯, ১৮,• •,• • • টাকার চেক খালাস হইবার জন্য এই সকল ভবনে আসিয়াছিল। এত বেশী আর কখনো ভারতে দেখা যায় নাই । ১৯২৩ সনের পরিমাণ ১৮,৭৬,১৯,০০,০০০ টাকা । এই হিসাবে ভারতের সঙ্গে বিলাতের তুলনা করিয়া দেখিলে আমাদের চেক-অভ্যাসটার ওজন করা সম্ভব । ১৯২৩ সনে বিলাতে চেক খালাস হইয়াছিল e৬,৬২৭,৫৯২,০ • • । এই অঙ্কটা সেই বৎসরের ভারতীয় অঙ্কের ৩• গুণেরও বেশী ।