পাতা:নলিনী-ভূষণ নাটক.pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ஆக নলিনী-ভুষণ । উগার কালগ্নি-রাশি-পবক-বিজলী— করাল অম্বরকুল ! দন্ত কড়মড়ি । যাকৃ যাকৃ জ্বলে হেন কাপুৰুষ-দেশ ! অথবা বান্ধিয়া মুখ কাল অন্ধকারে ডুবণও এপাপ বিশ্ব, বরষি বারিধি – স্তরে স্তরে তৃণপত্ৰ, লতাতৰুবর, গিরিচুড়া পশে যেন অতল সলিলে ! বহ বহু অহরহঃ প্রলয়পবন ! একাল কৌতুক তব বড় ভালবাসি । নাহি ডরি এবে অামি কাল মেঘমলে,— বিজলীর চক্চকী,—অশনির স্বনে,— পবনের ঘোরতর ভৈরব অপরাবে। ঝঞ্জাবাত—বজ্রনাদ—কি করিবে মোর ? হেলায় হাসিতে পারি প্রলয় সময়ে— যবে ধরা যাবে নামি অনন্ত আঁধারে— বাজিবে বিকট হাস্যে অনন্ত উদর । অমোঘ অজেয় বজ তব দেবরাজ ! কোথা সে প্রতাপ তব—কোথা সে অশনি ? কে করিল হুততেজ তোমা প্রভঞ্জন ?— কে হরিল বল তব নামের গৌরব ? নতুবা এদগ্ধ দেশ এখন জাগিছে শশাঙ্কে কলঙ্ক যথা বসুন্ধরণ-হৃদে ? ( দেবার প্রবেশ । ) দেব। এই যে ইনি ইখনৃকে দাইড়ে—মোর সাত মুলুক্‌ বুলচি । আহ ! মেয়ের নাগি শরীলে আর শরীল লাই। এমন বামুণের ছাওয়াল আর হবেক নি। মুশয় ! সব ঠিকৃ, পড়লেই হলোক্‌ ; ইখন ঘুমে সবুই কুপাকাৎ ৷