পাতা:নলিনী-ভূষণ নাটক.pdf/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নলিনী-ভূষণ । եք: স্বপ্ন আর একটু ভাল ক'রে দেখি । জগদীশ ! এ যদি স্বপ্ন হয় তো যেন ক্ষণেক পরে ভাঙে। ওলোকটী আবার কে ? তাই তো, আলে। আঁধারে যে ভাল দেখা যাচে না । ওর সঙ্গে এত কথাই ব। কিসের ? তবে কি ওর কাছেই এসেছে ? হু বিধাতঃ ! তোমার মনের সাধ কি এততেও মিটলো না ?—আবার অামায় সহস্ৰ বৃশ্চিকের জ্বাল দিলে ?—শেষ এ কারাগারেও নিরস্ত হ'লে না ? ( প্রকাশুে ) পাপীয় সি । এই কি তোর ধৰ্ম্ম ? তোর জন্যে অামার কি না হয়েছে ;—তোর এই কায । নীর । ( চতুৰ্দ্দিকু নিরীক্ষণ । ) মুর। পাপীয়সি ! তোর এই কায । নীর । ( সবিস্ময়ে ) নাথ ! আমার অপরাধ কি দেখলেন ? মুর । তুই কল্যি তুই জানিস্নে ? নৃশংসে কুলটা! তোর ব দিয়ে এখনও কথা বেরচে । তুই এখনও পাথর ছলিনে !— so ছবি কিসে । নীর। নাথ ! এখন বিস্তর কথার অবসর নাই ; পরে যা বলুবার সমস্তই বলবো ; শীঘ্ৰ বেরিয়ে আস্থান,—মুক্তির উপায় হয়েছে । মুর । বলবি আবার কি ? যার জন্মে এসেছিল, তোর সেই প্ৰাণেশ্বরকে নিয়ে যা ! আমায় যেন আর তোর মুখ দেখতে না হয় । এখানে প’চে ম’রবো, স্বৰ্য্যচন্দ্র বিনা আঁধারে দেহ মাটী করবো, সেও ভাল, তবু তোর মত রাক্ষসীর সঙ্গে যাব না। তুই যদি বাঘিনী হ’য়ে জঠর-জ্বালায় অামায় আহবান কত্তিস্, তাতেও বরং আমি তোর অমৃ গমন ক’ত্তে পাত্তেম ; কিন্তু আজ আমার চক্ষে তোর যে মূৰ্ত্তি দেখচি তাতে এক পদ ও তোর নিকট অগ্রসর হ’তে সাহস পাইনে—তোর প্রতিনিশ্বাসে যেন নরকানল ফেটে বেরচে ! যা, কুলটা—যা, তোর প্রাণ-বল্লভকে নিয়ে যা ! উঃ ! স্ত্রীলোকের মনে এত গরল ! এ লৌহ-নিগড়ও আমার সুখের, তথাপি তোর সঙ্গে স্বৰ্গবাসও বাঞ্ছনীয় নয় ।