চতুর্থ পরিচ্ছেদ।
ছায়া।
যেমন নিকটে অন্য তাড়িতপ্রবাহ থাকিলে বিদ্যুৎ আপনি তাহা জানিয়া প্রবল হয়, তেমনই স্নেহের আকর্ষণে হৃদয় সহজেই আকৃষ্ট হয় তাই প্রভাত ক্রমে শ্বশুর পরিবারের প্রতি আকৃষ্ট হইতেছিল। সঙ্গে সঙ্গে শোভার পক্ষেও ধূলগ্রামে ঘর করিতে যাইবার কল্পনা সুদূরপরাহত হইয়া পড়িতেছিল।
পরীক্ষা দিয়া প্রভাত গৃহে গেল। শোভার যাওয়া ঘটিল না।
বৈশাখের রৌদ্রতপ্ত দীর্ঘ দ্বিপ্রহর;— বাতাস যেন অনলশিখা, তাহার স্পর্শ ক্লেশকর। আকাশে চাহিতে চক্ষু ক্লিষ্ট হয়। আহার,—উপবেশন,—শয়ন,— কিছুতেই সুখ নাই—দেহে যেন দৌর্বল্যকাতরতা; দেহের সমস্ত শক্তি যেন অবিরলধারায় বাহির হইয়া যাইতেছে। যাহার নিতান্ত আবশ্যক, সে ভিন্ন আর কেহ রৌদ্রতপ্ত রাজপথে বাহির হইতেছে না। রাজপথ প্রায় শূন্য।
কৃষ্ণনাথের অন্তঃপুরে যে কক্ষে বধূত্রয়ের সহিত শোভা বসিয়াছিল, সে কক্ষে সকলেই যেন শ্রান্তা। বড় বধূ চপলাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “ছোট ঠাকুরপো আজ কেমন?”
গ্রীষ্মাগমে নলিনবিহারীর শিরঃপীড়া অত্যন্ত বৃদ্ধি পাইয়াছে। চিকিৎসকগণ নানা ঔষধের ব্যবস্থা করিতেছেন। “এক বিষয়ে সকল চিকিৎসক একমত,—কিছুকাল মানসিক
১২১