পাতা:নাগপাশ - হেমেন্দ্রপ্রসাদ ঘোষ.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

সে এত দিন সম্মুখের বাড়ীতে যাইত, আজ আর সেরূপ হইল না; আজ আয়োজন অনেক।

 পথে যাইতে যাইতে বিনোদবিহারী বলিল, “তোমার লজ্জিত হইবার কোনও কারণ নাই। আমি এ কথা এখনও সকলকে বলি নাই।”

 বিনোদবিহারী বলিল বটে, সে কথা সে সকলকে বলে নাই, কিন্তু সে বাড়ীতে তাহার আদর অভ্যর্থনার অতিশয্যে প্রভাতের বুঝা উচিত ছিল, সে কথা প্রকাশ পাইয়াছে—গোপন নাই।

 সে বাড়ীতে সকলেই তাহাকে বিশেষ লক্ষ্য করিতে লাগিল। বিনোদবিহারীর জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা তাহার সহিত নানা কথা কহিতে লাগিলেন। কৃষ্ণনাথও তাহার সহিত আলাপ করিলেন।

 ইহার পূর্ব্বে প্রভাত বহুবার এ বাড়ীতে আসিয়াছে; কিন্তু সে বিনোদবিহারীর বন্ধুরূপে। কাযেই তখন সে বিনোদবিহারীর বসিবার ঘরে যাইত, সেখানে তাহারই সহিত কথোপকথন হইত। এবার এই আদরে, আলাপে, যত্নে সে যেমন লজ্জিত হইতে লাগিল, তেমনই আনন্দ অনুভব করিল।

 আহারের ব্যবস্থা বহির্বাটী ও অন্তঃপুরের মধ্যপথে—মর্ম্মরমণ্ডিতহর্ম্ম্যতল কক্ষে হইয়াছিল। অন্তঃপুরের দিকে দ্বার ভেজান ছিল; ভোক্তাদিগকে সেই দিকে সম্মুখ করিয়া বসিতে হইল। সেই সকল দ্বারের পশ্চাতে মহিলাদিগের অলঙ্কারশিঞ্জিত ও অঞ্চলবদ্ধ কুঞ্চিকাগুচ্ছের সঞ্চালনধ্বনিও

88