পাতা:নাগপাশ - হেমেন্দ্রপ্রসাদ ঘোষ.pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নাগপাশ ৷

তাঁহার মত করাও। তুমি নহিলে এ কায আর কেহ পারিবে না। তুমি দাদাকে ধর।”

 শ্রাদ্ধের পর হইতেই পিসীমা প্রভাতের বিবাহের জন্য জিদ করিতে লাগিলেন, “আমি কবে মরি, প্রভাতের ছেলে দেখা অদৃষ্টে নাই। যে দু’টাকে মানুষ করিয়াছি, তাহারা এখন আর কাছে থাকে না। বাড়ী শূন্য—বালকবালিকা নহিলে কি বাড়ীর শোভা হয়?” এইরূপ কথায় শিবচন্দ্র বিচলিত হইলেন; নবীনচন্দ্রকে বলিলেন, “নবীন, দিদি প্রভাতের বিবাহের জন্য বড় ব্যস্ত হইয়াছেন, ছেলেও বড় হইয়াছে। একটা সম্বন্ধ স্থির কর।”

 নবীনচন্দ্র বলিলেন, “দুই স্থানে সম্বন্ধ উপস্থিত; উভয় পক্ষই বিশেষ আগ্রহ প্রকাশ করিতেছেন।”

 ইহার পর পিসীমা’র ও নবীনচন্দ্রের আগ্রহে কৃষ্ণনাথের কন্যার সহিত পুত্ত্রের বিবাহে শিবচন্দ্রের আপত্তির হ্রাস হইতে লাগিল। সঙ্গে সঙ্গে তাঁহাদের দুই জনের আগ্রহ প্রবলতরভাবে আত্মপ্রকাশ করিতে লাগিল।

 শেষে এক দিন সতীশচন্দ্রকে সংবাদ দেওয়া হইল। সকলে পরামর্শ করিয়া কর্ত্তব্য স্থির করিবেন।

৬৭