পাতা:নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তি.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

২৪.২ প্রত্যেক শিশুকে জন্মের অব্যবহিত পরে নিবন্ধভুক্ত করতে হবে এবং তার একটি নাম রাখতে হবে।

২৪.৩ প্রত্যেক শিশুর একটি জাতীয়তার অধিকার রয়েছে।

ধারা ২৫

প্রত্যেক নাগরিক নিম্নলিখিত অধিকার ও সুযোগ লাভ করবে এবং এসব ক্ষেত্রে ২ ধারায় বর্ণিত কোন কারণের ভিত্তিতে কোনরূপ ভেদাভেদ করা চলবে না এবং কোন অযৌক্তিক বাধানিষেধ আরোপ করা যাবে না—

ক) সরকারি কাজকর্ম পরিচালনায় প্রত্যক্ষভাবে, অথবা অবাধে নির্বাচিত প্রতিনিধিবৃন্দের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করা;
খ) সর্বজনীন ও সম ভোটাধিকারের ভিত্তিতে এবং নির্বাচকদের অবাধে মতপ্রকাশের নিশ্চয়তা প্রদান করে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ান্তরে অনুষ্ঠিত সুষ্ঠু নির্বাচনে ভোটদান করা ও নির্বাচিত হওয়া;
গ) সাধারণ সমতার ভিত্তিতে নিজ নিজ দেশের সরকারি কর্মে প্রবেশ করা।

ধারা ২৬

আইনের কাছে সকলেই সমান এবং কোনরূপ বৈষম্য ব্যতিরেকে সকলেরই আইনের দ্বারা সমভাবে রক্ষিত হওয়ার অধিকার রয়েছে। এ ক্ষেত্রে জাত, বর্ণ, নারী, পুরু, ভাষা, ধর্ম, রাজনৈতিক বা অন্য কোনরূপ মত, জাতীয় বা সামাজিক উৎপত্তি, সম্পত্তি, জন্ম অথবা অন্য কোন মর্যাদার ভিত্তিতে যে কোন বৈষম্য আইনের দ্বারা নিষিদ্ধ থাকবে এবং অনুরূপ বৈষম্যের বিরুদ্ধে দেশের আইন সবাইকে সমান ও কার্যকরী সংরক্ষণের নিশ্চয়তা প্রদান করবে।

ধারা ২৭

যেসব দেশে জাতিগত, ধৰ্মগত অথবা ভাষাগত সংখ্যালঘু রয়েছে সেসব দেশে অনুরূপ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের জন্য তাদের গোষ্ঠীর অন্যান্য সদস্যের সাথে সম্মিলিতভাবে নিজেদের সংস্কৃতি উপভোগ, নিজেদের ধর্ম ব্যক্ত ও অনুশীলন অথবা নিজেদের ভাষা ব্যবহার করার অধিকার অস্বীকার করা যাবে না।

ধারা ২৮

২৮.১ একটি 'মানবাধিকার কমিটি' (বর্তমান চুক্তিতে অতঃপর শুধু ‘কমিটি’ বলে উল্লেখিত) প্রতিষ্ঠিত হবে। এটা ১৮ জন সদস্য নিয়ে গঠিত হবে এবং পরে বর্ণিত কার্যাবলী সম্পাদন করবে।

২৮.২ এই কমিটি বর্তমান চুক্তির রাষ্ট্রপক্ষগুলো এমন সব নাগরিক নিয়ে গঠিত হবে যারা উচ্চ নৈতিক চরিত্রের অধিকারী এবং মানবাধিকারের ক্ষেত্রে যথেষ্ট পারদর্শী বলে স্বীকৃত; এ কমিটিতে আইন সম্বন্ধে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কতিপয় ব্যক্তির অংশগ্রহণের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ও বিবেচনা করতে হবে।

২৮.৩ কমিটির সদস্যগণ নির্বাচিত হবেন এবং ব্যক্তিগত মর্যাদায় কাজ করবেন।

১৫