পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাঠান-বৈষ্ণব রাজকুমার বিজুলী খাঁ Nòdès চৈতন্যচরিতামৃতের অষ্টাদশ পরিচ্ছেদে কবিরাজ গোস্বামী মহাশয় যে অদ্ভুত ঘটনার উল্লেখ করেছেন, সে ঘটনা যে প্ৰকৃত, কবিকল্পিত নয়, এই আমার চিরকেলে ধারণা। এবং এর ফলে, র্যারা ঐতিহাসিক গবেষণায় মনোনিবেশ করেছেন, উক্ত ঘটনাটির প্রতি তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবার ইচ্ছ। আমার বরাবরই ছিল। পূর্বে ষে করিনি, সে কতকটা আলস্য ও কতকটা সঙ্কোচবশতঃ । সম্প্রতি শ্ৰীযুক্ত অমৃতলাল শীল উক্ত ঘটনা অবলম্বন ক’রে ‘প্ৰবাসী’ পত্রিকায় একটি ঐতিহাসিক প্ৰবন্ধ লিখেছেন। তিনি বলেন যে, তঁপরও বিশ্বাস ও গল্পটি বৈষ্ণবদের কল্পিত নয়, সত্য ঘটনা। আমরা যদি সে যুগের ইতিহাসের অন্তর থেকে পাঠান-বৈষ্ণব বিজুলী থাকে বা’র করতে পারি, তাহ’লে কবিরাজ গোস্বামীবৰ্ণিত বিবরণ যে সত্য সে বিষয়ে নিঃসন্দেহ হওয়া যায়। উক্ত কারণেই শীল মহাশয় বিজুলী খাঁর পরিচয় দিতে চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেন, চৈতন্যচরিতামৃতে র্যাকে বিজুলী খা বলা হয়েছে, তার প্রকৃত নাম আহম্মদ খা। আমার ধারণা অন্যরূপ। আমার বিশ্বাস, চৈতন্যের যুগে “বিজুলী খা” নামে একটি স্বতন্ত্র ও স্বনামখ্যাত রাজকুমার ছিলেন, এবং কবিরাজ গোস্বামী মহাশয় তারই কথা বলেছেন । কি কারণে আমার মনে এ ধারণা জন্মেছে, সেই কথাটাই এ প্ৰবন্ধে বলতে চাই। R চৈতন্যচরিতামৃত হতে যদি সমগ্ৰ বৰ্ণনাটি পাঠকদের চোখের সুমুখে ধ’রে দিতে পারতুম, তাহ’লে ঘটনাটি যে কত অদ্ভুত তা সকলেই দেখতে পেতেন। কিন্তু এ প্রবন্ধের ভিতর তার অবসর নেই, কারণ বর্ণনাটি