পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙালী-পেটিয়টিজম ܬܠܹSܗܶ আর বাঙালী বাঙালী-মাত্রেরই স্বজন, তার কারণ-ভাষার যোগ হচ্ছে, মানস কায়ে রক্তের যোগ । সুতরাং বাঙালীদের পরস্পরের প্রতি নাড়ীর টান থাকাই স্বাভাবিক, না থাকাটাই অদ্ভুত । তার পর এ প্রীতির পূরে কৈফিয়ৎ দেওয়া শক্ত, কেননা তার মূল আমাদের কাছে প্ৰত্যক্ষ নয় । ছেলেবেলায় গুরুমহাশয়ের আমাদের একটা ভারি শক্ত অঙ্ক কষতে দিতেন, যা আমরা সকলে কাষে উঠতে পারতুম না । সে অঙ্ক হচ্ছে এই :- আছিল দেউল এক পৰ্ব্বত-প্রমাণ তেতাই সলিলে তার • • • • • • • • • • • • তার পর কি আছে ঠিক মনে পড়ছে না। কবিতা আমার কণ্ঠস্থ থাকে না । তবে এটুকু মনে আছে যে, সে মন্দিরের মাটির ভিতর কতটা পোতা আছে আঁকি কসে তাই আমাদের বার করতে হত। এখন আমার কথা এই যে, মানুষের মন পৰ্ব্বত-প্রমাণই হোক আর বন্মিক-প্রমাণই হোক, তার সমস্তটা জেগে নেই। তার অনেকটা স্বজাতির মনের জমির নীচে পোতা আছে ; যেটুকু জেগে আছে সেইটুকু আমরা দেখতে পাই, অপরকেও দেখাতে পারি ; কিন্তু সেই আংশিক মন দিয়ে আমাদের সমগ্ৰ মনের পূরে পরিচয় আমরা দিতে পারি নে। সুতরাং আমাদের রাগদ্বেষের সঠিক কারণ আমরা সব সময়ে নিজেও জানি নে, অতএব পরকেও জানাতে পারিনে । এ ক্ষেত্রে নিজের কোট বজায় রাখবার জন্য মানুষে যে সব তর্কযুক্তি দেখায় সে সব ষোল আনা গ্ৰাহ নয় । কেননা যুক্তিতর্কের দোষ এই যে, তার দ্বারা আমরা অপরকে প্ৰবঞ্চিত করতে 臀 ন চাইলেও অনেক সময় নিজেকে প্ৰবঞ্চিত করি। কে না জানে যে,