পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙালী-পেটিয়টিজম So 2 যদি জিজ্ঞাসা করে যে, এই সহজ সত্যটা লোকের চোখে পড়ে না। কেন ?--তার উত্তর আমাদের অবস্থার গুণে । সমগ্ৰ ভারতবর্ষ আজি বিদেশী রাজার অধীনে, সুতরাং ভারতবর্ষের কোনো প্রদেশেরই আজি রাজনৈতিক স্বাতন্ত্র্য নেই। আমাদের পরস্পরের মধ্যে আজ প্রধান বন্ধন হচ্ছে পরাধীনতার বন্ধন, এবং এ অধীনতার পাশ হতে কোনও প্রদেশবিশেষ নিজ চেষ্টায় নিজ কৰ্ম্ম গুণে মুক্ত হতে পারবে না। এ অবস্তায় আমাদের সবারই পলিটিক্যাল-সমস্যা একই সমস্যা । সে সমস্যা হচ্ছে এই যে, অধীনতা কি করে স্বাধীনতায় পরিণত করা যায়। সুতরাং আজকের দিনে ত্রিশকোটি ভারতবাসীকে ‘সংগচ্ছদ্ধং সংবাদদ্ধং’ এই উপদেশ কিম্বা আদেশ দিতে আমরা বাধ্য। আমাদের সকলেরই তাই একই বাদ, সে অধীনতার বিরুদ্ধে প্ৰতিবাদ, আর আমাদের সকলেরই গমাস্তান একই— স্বরাজ্যে । প্রাদেশিক পোর্টজমের মূল্য যে কি, তা দেশের লোক স্বরাজ্যে পৌছি বামাত্র টের পাবে । অধীনতার যোগসূত্ৰ স্বাধীনতার সম্পশে ছিড়ে যাবে। প্রভৃত্বের চাপে দাসের দল একাকার হয়ে যেতে পারে, কিন্তু স্বাধীন মানব তার স্বধৰ্ম্মের চর্চা ক’রে তার স্বাতন্ত্র্য ফুটিয়ে তুলবে। তখন ভারতবর্ষের নানা জাতি একাকার হবার চেষ্টা করবে না, পরস্পরের ভিতর ঐক্য স্থাপন করবার চেষ্টা করবে। আজকের দিনের কংগ্রেসী-ঐক্যের সঙ্গে সে ঐক্যের আকাশ-পাতাল প্ৰভেদ হবে । বাইরের চাপে মিলিত হওয়া, আর প্রীতির প্রভাবে মিলিত হওয়া এক বস্তু নয়। এক জেলে পাচজন