পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূর্ব ও পশ্চিম ܗܶܘܬ ܔ করতে পারুক, কিছুকিঞ্চিৎ জখম যে করেছে, সে বিষয়ে ফ্রান্সের সাহিত্যসমাজে দ্বিমত নেই । Masis প্রথমতঃ অতি চটকদার লেখক । উপরন্তু খৃষ্টান ধৰ্ম্ম ও খৃষ্টান দর্শনে তঁর বিশ্বাস অটল। এই বিশ্বাসের বলেই তিনি সম্পূর্ণ নিভীক এবং মারাত্মক লেখক হয়ে উঠেছেন। তাই র্যারা র্তার মতাবলম্বী নন, তারাও স্বীকার করছেন যে, তার মতামতের ভিতর অনেক নিগুঢ় সত্য আছে। তবে সকলেই বলেন তীর দোষ এই যে, অবিশ্বাসী সাহিত্যিকদের প্রতি তার কোনরূপ মায়ামমতা নেই। দ্বিতীয় কুমারিল ভট্টের মত তিনিও ফরাসী সাহিত্যরাজ্যে নাস্তিক নিগ্ৰহ করতে বদ্ধপরিকর হয়েছেন । ইনি সম্প্রতি “ইউরোপের আত্মরক্ষা” নামক একখানা বই লিখেছেন । উক্ত গ্রন্থের সমালোচনা করেছেন Edmond Jaloux নামক জনৈক খ্যাতনামা সাহিত্যিক । সাহিত্য সমালোচনা যে কা’কে বলে, Jaloux-র সমালোচনাকে তার আদর্শ বলা যায়। “উদার চরিতানাং তু বসুধৈব কুটুম্বকম”—এ কথা যে সাহিত্যরাজ্যেও খাটে, তার জীবন্ত প্ৰমাণ হচ্ছেন উক্ত সমালোচক । ( ( ) 4. Massis। মহোদয়ের দৃঢ় বিশ্বাস যে, ইউরোপ ধ্বংসপথের যাত্রী হয়েছে। তাই তিনি ইউরোপকে আত্মরক্ষার জন্য সত্ৰ কঁ হতে পরামর্শ দিয়েছেন । র্তার মতে আত্মরক্ষার অর্থ-আত্মার রক্ষা। তঁর বিশ্বাস পৃথিবীর প্ৰতি জাতেরই একটী বিশেষ নিজস্ব আত্মা আছে, আর স্বকীয় আত্মার সেই বিশিষ্টতা রক্ষণ করারই নাম আত্মরক্ষা । কারণ কোনও জাতি যদি তার আত্মাকে সজীব ও সুস্থ রাখতে পারে, তাহ’লে সে জাত জীবনেও সুস্থ ও সফল হতে বাধ্য।