পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VR নানা চৰ্চা পুণাপুর বলেন, সেই পুরিই হচ্ছে রামকৃষ্ণ গোপাল ভাণ্ডারকরের রাজধানী এবং সেই পুরিতেই এ দেশের যত বড় বড় Orientalist অবতীর্ণ হয়েছেন । “কৰ্ম্মযোগে|” যত সব ব্ৰাহ্মণ পণ্ডিতের উল্লেখ আছে সে সবই মহারাষ্ট্রীয় - একটিও বঙ্গদেশীয় নয় । স্বয়ং মহাত্মা তিলক হচ্ছেন, এই বিলেতি দস্তুর-পণ্ডিতদের মধ্যে অগ্রগণ্য। এ বিষয়ে তঁর কৃতিত্ব এতই অসামান্য যে, পাশ্চাত্য Orientalist সমাজেও তিনি অতি উচ্চ আসন লাভ *び窓び5cm পাশ্চাত্য পণ্ডিতরা বিশেষ করে এই মহা প্রশ্ন তুলেছেন যে মহাভারতে ভাগবৎ-গীত প্ৰক্ষিপ্ত কি না । মহাত্মা তিলক এ প্রশ্নের উত্তরে বলেন যে— [ “যে ব্যক্তি বর্তমান মহাভারত রচনা করিয়াছিলেন, তিনিই বর্তমান গীতাও বিবৃত করিয়াছেন” । ] এ সিদ্ধান্তে তিনি অবশ্য উপনীত হয়েছেন বাহ-প্ৰমাণের বলে । কেননা তিনি একথা স্পষ্ট করে বলেছেন যে— [ “যাহারা বাহ-প্ৰমাণকে মানেন না এবং নিজেরই সংশয়-পিশাচকে অগ্ৰস্থান দেন, তঁহাদের বিচার-পদ্ধতি নিতান্ত অশাস্ত্রীয় সুতরাং অগ্রাহ” । ] মহাত্মা তিলকের মতে “গীতাগ্রন্থ ব্ৰহ্মজ্ঞানমূলক, এই ভুল ধারণা হইতেই এই সন্দেহ তো প্ৰথমে বহির হয় ।” আমি অবশ্য আচাৰ্য্যের শিষ্য নই অর্থাৎ শঙ্কর-পন্থী বৈদান্তিক নই- এমন কি শঙ্করকে “প্রচ্ছন্ন বৌদ্ধ” বলতেও আমার তিলমাত্র দ্বিধা নেই। তবুও মহাত্মা তিলকের সংগৃহীত বাহ-প্ৰমাণ আমার মনের সন্দেহ-পিশাচকে