পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৌদ্ধ ধৰ্ম্ম bዖ9) মৃত্যু-বৌদ্ধধৰ্ম্মের বিক্ষিপ্ত অস্থিসকলই আমরা সংগ্ৰহ করতে সচেষ্ট হয়েছি। আর নানা স্থান থেকে সংগৃহীত অস্থিসকল একত্র জুড়ে যদি আমরা কিছু খাড়া করতে পারি, তাহলে তা হবে সুধু বৌদ্ধধৰ্ম্মের কঙ্কালমাত্র। বৌদ্ধধৰ্ম্মের আত্মার সন্ধান না নিয়ে তার মৃতদেহের সন্ধান নেওয়ায়, বলা বাহুল্য আমাদের আত্মজ্ঞান এক চুল ও বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হবে না। আর বৌদ্ধধৰ্ম্মের সঙ্গে র্যার পরিচয় নেই, তিনি তার দেহের সাক্ষাৎ লাভ করলেও তার রূপের পরিচয় লাভ করবেন না। বৌদ্ধ-স্তুপ তার কাছে একটা পাষাণ স্তাপমাত্রই রয়ে যাবে। ইট-কাঠ-গড়া মূৰ্ত্তিসকল মূক। তারা নিজের পরিচয় নিজমুখে দিতে পারে না, তাদের পরিচয় লাভ করতে হয়, ভাষায় যা লিপিবদ্ধ আছে তারই কাছে। সুতরাং বুদ্ধ, তার ধৰ্ম্ম ও তার সজেঘর অজ্ঞতার উপর বৌদ্ধযুগের বাহ ইতিহাসও গড়া যাবে না। আমরা বৌদ্ধস্তুপ, স্তম্ভ, মন্দির, মূৰ্ত্তির মুখে যে কথা সব দিই, সে কথা আমরা বৌদ্ধশাস্ত্র থেকেই সংগ্ৰহ করি। Sanchi এবং Barhut স্তপের ভিত্তিগাত্রে ংলগ্ন মূৰ্ত্তিগুলির অর্থ ও সার্থকতা তার পক্ষে জানা অসম্ভব, যার বৌদ্ধ জাতকের সঙ্গে সম্যক পরিচয় নেই। অতএব বৌদ্ধশাস্ত্রেরও কিঞ্চিৎ পরিচয় লাভ করা আমাদের নব-ঐতিহাসিকদের পক্ষে অত্যাবশ্যক। ( ܡ ) পূজ্যপাদ ৬yসত্যেন্দ্ৰ নাথ ঠাকুর মহাশয়ের “বৌদ্ধধৰ্ম্ম” ব্যতীত বাঙলা ভাষায় আর একখানিও এমন বই নেই, যার থেকে বুদ্ধের জীবন-চরিত, তারা প্ৰবৰ্ত্তিত ধৰ্ম্মচক্র এবং তার প্রতিষ্ঠিত সজেঘর প্রকৃত পরিচয় পাওয়া যায়। ইংরাজী ভাষায় ইউরোপীয় পণ্ডিতদের লিখিত বৌদ্ধধৰ্ম্ম সম্বন্ধে