পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SR0 -9 ।। আবার তা সংশোধন করা হচ্ছে। কিন্তু সে ভুলের আবিষ্কার ও, সংশোধন ঐ একই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির সাহায্যে সাধিত श्0bछ । ঐতিহাসিক শাখার নেতা শ্ৰীযুক্ত অক্ষয়কুমার মৈত্র মহাশয়, ঐতিহাসিক সত্য নির্ণয় করবার পদ্ধতিটি যে কি, তারই বিস্তৃত ব্যাখ্যা করেছেন ; কারণ ইতিহাস ঠিক বিজ্ঞান না হলেও, একটি উপ-বিজ্ঞানের মধ্যে গণ্য। এক্ষেত্রে মৈত্রমহাশয়ের মতে ঐতিহাসিকদের প্রধান কৰ্ত্তব্য হচ্ছে অনুসন্ধান করে অতীতের দলিল সংগ্ৰহ করা । সে দলিল, নানা দেশে নানা স্থানে ছড়ানো আছে। সুতরাং সেই সব হারামণির অন্বেষণের জন্য ঐতিহাসিকদের দেশদেশান্তরে ঘুরতে হবে। শুধু তাই নয়। ঐতিহাসিক তত্ত্ব সকল সময়ে মাটির উপর পড়ে'-পাওয়া যায় না। ও হচ্ছে বেশির ভাগ কষ্ট করে’ উদ্ধার করবার জিনিষ ; কারণ অতীত প্রত্যক্ষ নয়,-বৰ্ত্তমানে তা ঢাকা পড়ে থাকে। ঐতিহাসিক তত্ত্ব আবিস্কার করবার অর্থ হচ্ছে অ-দৃষ্টকে দৃষ্ট করা, তার জন্য চাই পুরুষকার। তাই মৈত্রমহাশয়, কেবলমাত্র ভক্তিভরে অতীতের নাম কীৰ্ত্তন না করে, তার সাক্ষাৎকার লাভ করবার পরামর্শ আমাদের দিয়েছেন। তার পরামর্শমত কাজ করতে হ’লে, আমাদের করতাল ভেঙে কোদাল গড়াতে হবে। ভূগর্ভে ও কালগর্ভে যে সকল ঐতিহাসিক রত্ন নিহিত আছে, আগে তা খুঁড়ে বার করতে হবে, পরে তার কাটাইছাঁটাই করে’ সাহিত্য-সমাজে প্রচলন করতে হবে। এ কথা অবশ্য স্বীকাৰ্য্য যে, আগে আসে খনিকার, তার পরে মণিকার। মৈত্ৰ মহাশয় তাই ঐতিহাসিকদের কলম ছাড়িয়ে খন্ত ধরাতে চান। তঁর বিশ্বাস যে, ঐতিহাসিকদের হাতের খন্ত নিয়ত