পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহস করেছি। তার কারণ আমি জানি তাদের আর যাই থাক হুল নেই। বড় জোর আমাকে শুধু লেখকদের ভন্নভনানি সহ সে যাই হোক “ঢাকা রিভিউ”-এর সম্পাদক যে আপত্তি উত্থাপন করেছেন, তার একটা বিচার হওয়া আবশ্যক। আমি ভাষা-তত্ত্ববিদ নই, তবুও আমার মাতৃভাষার সঙ্গে যেটুকু পরিচয় আছে, তার থেকেই আমার এইটুকু জ্ঞান জন্মেছে যে, মুখের কথা লেখায় স্থান পেলে, সাহিত্যের ভাষা প্ৰাদেশিক কিম্বা গ্ৰাম্য হয়ে উঠবে না। বাঙ্গলা ভাষার কাঠাম বজায় না। রাখতে পারলে আমাদের লেখার যে উন্নতি হবে না, একথা নিশ্চিত। কিন্তু সেই কাঠাম বজায় রাখতে গেলে, ভাষারাজ্যে বঙ্গভঙ্গ হবার কোন সম্ভাবনা আছে কিনা, সে বিষয়ে একটু আলোচনা দরকার। আমি তর্কটা উত্থাপন করে দিচ্ছি, তার সিদ্ধান্তের ভার, যারা বঙ্গভাষার অস্থিবিদ্যায় পারদর্শী, তাদের হস্তে ন্যস্ত থাকল। ভাষায় প্রাদেশিকতা। । প্ৰাদেশিক ভাষা-অৰ্থাৎ dialect-এই নাম শুনলেই আমাদের ভীত হবার কোনও কারণ নেই। সম্ভবত এক সংস্কৃত ব্যতীত, গ্ৰীক ল্যাটিন প্রভৃতি মৃত ভাষাসকল এক সময়ে লোকের মুখের ভাষা ছিল। এবং সেই সেই ভাষার সাহিত্য । সেই যুগের লেখকেরা “যচ্ছতং তল্লিখিতং” এই উপায়েই গড়ে তুলেছেন। গ্ৰীক সাহিত্য ইউরোপীয় পণ্ডিতদের মতে ইহজগতের SBDDD BB DDD S LLLLSgB BB DuLY g . .