আরও দশ মিনিট চলিয়া গেল, কে ফিরিল না, তাহার প্রত্যাগমনের কোন চিহ্নও দেখিতে পাইলেন না। ডড্লে অত্যন্ত উৎকণ্ঠিত হইয়া উঠিলেন। অনেকক্ষণ পরে কাহার পদশব্দে উড়লে আত্মসংবরণ করিয়া উৎকর্ণভাবে দাঁড়াইয়া রহিলেন।—ডড়লে মিস্ এরসকাইনকে বলিলেন, “এইবার বুঝি ব্লেক আসিতেছে।”
মিস্ এরসকাইন বলিলেন, “সে-ই যে আসিতেছে, ইহা কিরূপে বুঝিলেন? ঐ পদশব্দ স্থানীয় কোন লোকেরও ত হইতে পারে।”
ডড়লে বলিলেন, “নিশ্চয়ই নহে। জুতার শব্দেই বুঝিয়াছি ব্লেক ‘আসিতেছে। স্থানীয় অসভ্য লোকগুলা জুতা পাইবে কোথায়?—না, ব্লেকই আসিতেছে।”
কথা শেষ হইতে-না-হইতে পাচক ব্লেক তাদের সম্মুখে আসিয়া দাঁডাইল। তাহাকে দেখিয়া ডড্লে উত্তেজিত স্বরে বলিলেন, “ব্লেক, তোমার এত বিলম্বের কারণ কি? তোমার বিলম্ব দেখিয়া আমার যে কত দুশ্চিন্তা হইয়াছিল—তাহা তোমাকে বলিয়া বুঝাইতে পারিব না।”
পাচক বলিল, “আমি পথ হারাইয়া। অন্যদিকে গিয়া পড়িয়াছিলাম। আমার বিলম্ব দেথিয়া আপনি উৎকণ্ঠিত হইবেন, তাহা কি আর বুঝিতে পারি নাই?
ডড়লে বলিলেন, “কত রকম আশঙ্কাই মনে হইতেছিল—তাহা আর তোমাকে কি বলিব?—যাহা হউক, যে কাযে গিয়াছিলে তাহার কি হইল? তুমি ত বোটের পাল লইয়া আস নাই।”
পাচক বলিল, “না মহাশয়, আমি বোটখানি খুঁজিয়া পাই নাই। আপনি একবার এদিকে চলুন।
ডড়লে বুঝিলেন, পাচক তাঁহাকে কোন গোপনীয় কথা বলিবে, মিস 'এরসকাইনের সাক্ষাতে সে তাহা বলিতে অনিচ্ছুক। তিনি মিস্ এরাইনকে বলিলেন, “মিস এরসকাইন, পাল ত পাওয়া যায় নাই, আজ রাত্রির মত একখানা কম্বল বিছাইয়াই মাটীর উপর আপনাকে শয়ন করিতে হইবে, অন্য, কোন উপায় দেখি না।