আমি তোমাদিগকে নির্ব্বিঘ্নে লামুতে রাখিয়া আসিব, কিন্তু আজ সকালে তুমি আমার ভাইকে যে রকম চকচকে চিজ, দিয়াছিলে, ঐ রকম চিজ, আমিও চাই।’
ডড্লে বলিলেন, “নৌকা আনিয়া আগে আমাদের সঙ্গে রওনা হও তাহার পর তুমি তাহা অপেক্ষা অনেক উৎকৃষ্ট ও মূল্যবান অলঙ্কার পাইবে।— তোমার ধাও’ কোথায়?
আগন্তুক বলিল, “সমুদ্রের ধারে বাধা আছে। আমার ধাও খুব সরেস নৌকা, একেবারে নূতন। তোমাদের লইয়া পাখীর মত উড়িয়া যাইব আমি লামু যাইবার পথ জানি, আমার সঙ্গে আজ রাত্রেই চল, তোমাদিগকে গোপনে লইয়া যাইব।”
ডড্লে বলিলেন, “তোমার প্রস্তাবে রাজী হইলাম, এখন আর এক কথাতুমি বাড়ী গিয়া আমাদেব জন্য কিছু খাবার লইয়া এস, আমাদের খাবার ফুরাইয়া গিয়াছে।—খাবার আনিয়া দিলে বকশিশ পাইবে, বুঝিয়াছ?—শীঘ্র যাও।”
আগন্তুক বলিল, “তুমি এইখানে অপেক্ষ’ কর, আমি শীঘ্রই আসিব।”
আগন্তুক প্রস্থান করিলে ডড্লে উৎকন্বিত চিত্তে একখানি কাঠের গুড়ির উপর বসিয়া রহিলেন।—তিনি স্থির করিলেন, যেরূপ হউক, রাত্রেই দ্বীপ ত্যাগ করিতে হইবে। বিশ্বাসঘাতক সর্দ্দার প্রভাতে তাহাদিগকে ধরাইয়া দিতে পারে।
প্রায় পনের মিনিট পর হাবসীটা কতক গুলি খাবার লইয়া ডড্লের নিকট উপস্থিত হইল। তিনি সাগ্রহে তা গ্রহণ করিলেন। হাবসী বলিল, “আমি যে খাবার দিলাম, তাহা ছয় জন লোক খাইয়াও ফুরাইতে পারিবে না। আমার বকশিশ কোথায়?
উড়াল পকেটে হাত পূরিয়া তাহার রিভলভারটি বাহির করিলেন, এবং হাবসীটাকে তা দেখাইয়া বলিলেন, “বকশিশ হবার পূ্র্ব্বে তোমাকে আর একটা কায করিতে হইবে। আমরা এই দ্বীপে আর এক মুহুর্ত নিরাপদ নহি,