হইলেন। সমস্যদিন নৌ-পরিচালনের পর অপরাহ্নকালে ডড্লে দেখিলেন, তাহারা একটি সমৃদ্ধ নগরের সান্নিধ্যে উপনীত হইয়াছেন।—প্রকাণ্ড অট্টালিকাশ্রেণী দ্বীপের উপর মাথা তুলিয়া দাড়াইয়া আছে। ডড্লে বুঝিলেন, ইহাই লামু নগর। তিনি মিস এরসকাইনের হাত ধরিয়া সোৎসশে বলিয়া উঠিলেন, “আমাদের বিপদ কাটিয়া গিয়াছে, এতদিনে আমরা রক্ষা পাইলাম। পরমেশ্বর। তুমিই ধন্য, তোমার করুণায় শত্রুকবল হইতে মুক্তিলাভ করিলাম নিরাপদ স্থানে ফিরিয়া আসিলাম। কি আনন্দ। কি আনন্দ।’— ডড্লে হঠাৎ মিস এ্র্ররসকাইনের পদ প্রান্তে মুচ্ছিত হইয়া পড়িলেন। এতদিন ধরিয়া তিনি যে দুঃখ কষ্ট, দুশ্চিন্তা, অনিয়ম, ক্লান্তি নীরবে সহ্য করিয়া আসিয়াছিলেন, বিপদে অবসানে তাহা তাহার দেহ ও মনের উপর এরূপ প্রতিক্রিয়া আরম্ভ করিয়াছিল যে, তিনি আর কোন মতে আত্মসম্বরণ করিতে পারিলেন না।
মিস এরসকাইন ক্রোড়ের উপর তাঁহার মস্তক তুলিয়া লইয়া সফরে তার পরিচর্যা করিতে লাগিলেন, পাচক ব্লেক ব্রাণ্ডির বোতল খুলিয়া তাহাকে কিঞ্চিৎ ব্র্যাণ্ডি পান করাইল।—তাহার পর মিস এরসকাইনকে অত্যন্ত ভীত দেখিয়া বলিল, “মিস, আপনি স্থির হউন, শীঘ্রই উহার মুর্চ্ছা ভাঙ্গিবে, ভয়ের কোন কারণ নাই।
কয়েক মিনিট পরে ডড্লের মুর্চ্ছা ভঙ্গ হইল, তাকে সচেতন দেখিয়া মিস্ এসকাইন গদগদ কণ্ঠে বললেন, হঠাৎ আপনার মূচ্ছ হওয়ায় আমার বড় দুশ্চিন্তা হইয়াছিল, এখন আপনি কেমন আছেন?”
ডড্লে তৎক্ষণাৎ গাত্রোথান করিয়া বলিলেন, “না, আমার জন্য আপনি উৎকণ্ঠিত হইবেন না, আমি সম্পূর্ণ সুস্থ হইয়াছি। বিপদের শেষে এভাবে ভাঙ্গিয়া পড়া বড়ই লজ্জাস্কর হইয়াছে।”
নৌকাখানি নগরের প্রান্তভাগে উপস্থিত হই। ডড্লে মিস এরসকাইনকে বলিলেন, “আমাদের সকল বিপদ কাটিয়া গিয়াছে, আপনি কি ইহা বিশ্বাস করিছেন না? সত্যই আমরা এখন নিরাপদ।”
মিস এরসকাইন অশ্রুপূর্ণ নেত্রে বলিলেন, “এতদিনে আমরা নিরাপদ