বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/২৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আটলাণ্টা-সম্মিলনে অভিভাষণ
২৩৫

পরকে সুখী করিবার জন্য খাটিতাম। সে খাটায় কিছুমাত্র নিজস্ব ছিল না, নিজের লাভ দেখিতাম না, নিজের আনন্দ পাইতাম না। কিন্তু স্বাধীনতার যুগে খাটিব—নিজের জন্য, নিজ আনন্দের জন্য, নিজ স্বার্থসিদ্ধির জন্য—সকল বিষয়ে নিজের কর্ত্তৃত্ববোধ জাগাইবার জন্য—সর্ব্বত্র নিজকে প্রতিষ্ঠিত করিবার জন্য। কিন্তু খাটা বন্ধ হইবে না। যতদিন মানুষ থাকিব ততদিন খাটিতেই হইবে।

 আমার নিগ্রো ভ্রাতারা সর্ব্বদা একথা মনে রাখিয়া চলিবেন। স্বাধীন হইয়াছি বলিয়া বাবুগিরি ও বিলাসের সুযোগ পাইয়াছি—একথা যেন আমরা না বুঝি! বরং এখন হইতে আমাদিগকে কঠোর সংযম পালন করিতে হইবে। সৌখীন ও চকচকে পদার্থের প্রলোভন ছাড়াইয়া যথার্থ টেকসই, স্থায়ী এবং কার্য্যোপযোগী জিনিষপত্রের আদর করিতে হইবে। অলঙ্কার বেশভূষা ইত্যাদির আকাঙ্ক্ষা এখন কিছু বর্জ্জন করা আবশ্যক। সকল বিষয়েই আমাদের এখন কষ্টকর সাধনার যুগ।

 সকল স্বাধীন জাতিই বিবেচনা করেন যে, কবিতারচনায় যে কৃতিত্ব, জমি চাষেও সেই কৃতিত্ব। সুতরাং যাঁহারা সমাজকে ধনে সম্পদে উন্নত করিতেছেন তাঁহাদের সম্মান বড় কম নয়। এই বুঝিয়া আমাদেরও এই ধনসম্পদ্‌বৃদ্ধির কর্ম্মে মনোযোগী হইতে হইবে। আমরা এই গোড়ার কথা ভুলিয়া গেলে উন্নতির উচ্চ স্তরগুলিতে উঠিতে পারিব না।

 তারপর আমরা যেন সর্ব্বদা মনে রাখি যে, আমাদের সুযোগ ও সুবিধা, বর্ত্তমানে অনেকই রহিয়াছে। অবশ্য কতকগুলি বাধা