বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৬
নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর

একটা নূতন কৌশল অবলম্বন করিয়াছেন। তাহা ছাড়া তাঁহারা সকল ছাত্রকে অন্যান্য বিষয় শিখাইবার সঙ্গেসঙ্গেই দুটা একটা কৃষি-শিল্পকর্ম্ম বা ব্যবসায়ও শিখাইয়া থাকেন। এই সুযোগেও ছাত্রেরা নিজের খরচ নিজেই চালাইয়া লয়। অধিকন্তু ভবিষ্যতের জন্যও তাহাদের অন্ন-সংস্থানের উপায় জানা হইয়া থাকে।

 এই বিদ্যালয়ের নাম “শিক্ষক ও শিল্পবিদ্যালয়”। ভার্জ্জিনিয়ার হ্যাম্পটন নগরে ইহা অবস্থিত।

 আমি তৎক্ষণাৎ স্থির করিলাম আমি ঐ পাঠশালায় ভর্ত্তি হইব। আমার পক্ষে উহা অপেক্ষা সুবিধার স্থান আর কি হইতে পারে? নিজে খরচ চালাইয়া লইব। সুতরাং অভিভাবকের আপত্তি থাকিবে কেন?

 আমি হ্যাম্পটনের নাম জপিতে লাগিলাম। হ্যাম্পটন কোথায়, আমার ম্যান্‌ডেন হইতে কোন্ দিকে বা কতদূর আমি কিছুই জানি না। দিবারাত্রি শুধু সেই বিদ্যালয়ের ধ্যান করিতে লাগিলাম। আমার মনে আর কোন চিন্তা আসিল না।

 কয়লার খনিতে আরও কিছুকাল কাজ করিলাম। এই সময়ে একটা নূতন চাকরীর সন্ধান পাইলাম। আমাদের এই খনি এবং নুনের কল একজনেরই সম্পত্তি ছিল, তাঁহার নাম জেনারেল লুইস্ রাফ্‌নার। রাফ্‌নারপত্নী বড় কড়া মেজাজের মনিব ছিলেন। তাঁহার চাকর কেহই টিকিত না। দুই তিন সপ্তাহের মধ্যেই সকলে পলাইয়া আসিত। দেখিলাম কয়লার খনিতে কাজ করা অপেক্ষা একটা পরিবারের চাকর হওয়া শতগুণে ভাল। আমি