বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
হ্যাম্পটনে জীবন গঠন
৭৭

তাঁহার নাম সেনাপতি আর্মষ্ট্রঙ্গ। আমি পুনরায় বলিতেছি তিনি আমার চিন্তারাজ্যের 'একমেবাদ্বিতীয়ম্‌' মহাবীর। তাঁহার ন্যায় সাধুপুরুষ আর আমি দেখি নাই।

 (২) দ্বিতীয়তঃ, আমি বিদ্যালাভের উদ্দেশ্য সম্বন্ধে নূতন ধারণা অর্জ্জন করিলাম। লোকে লেখাপড়া শিখে কেন? পূর্ব্বে নিগ্রোসমাজের সাধারণ লোকজনের কথাবার্ত্তা ও চালচলন দেখিয়া ধারণা জন্মিয়াছিল যে, শারীরিক পরিশ্রম হইতে মুক্তি পাইবার জন্য বিদ্যা শিক্ষা করিতে হয়। এবং লেখাপড়া শিখিয়া মানুষ বেশ সুখে স্বচ্ছন্দে বাবুগিরি করিয়া কাল কাটাইতে পারে। হ্যাম্পটনে আমার দিব্যজ্ঞান লাভ হইল। ওখানকার আব্‌হাওয়াতে হাতে পায়ে কাজ করা, খাটিয়া খাওয়া, শারীরিক পরিশ্রম করা ইত্যাদি কার্য্য প্রত্যেক শিক্ষিত লোকের স্বাভাবিক ধর্ম্মের মধ্যেই পরিগণিত হইত। নিষ্কর্মা মানুষ কাহাকে বলে সেই বিদ্যালয়ের চতুঃসীমার মধ্যে জানিতে পারিতাম না। ছাত্র, শিক্ষক সকলেই পরিশ্রম করিতে ভাল বাসিতেন এবং পরিশ্রমী-লোককে সম্মান করিতেন। পরিশ্রম না করাটাই সেখানে একটা নিন্দনীয় ও গর্হিত কার্য্য ছিল এবং অশিক্ষিত লোকের লক্ষণ বিবেচিত হইত। কাজকর্ম্ম করিলে পয়সা পাওয়া যায়, অন্নের ব্যবস্থা হয়, আর্থিক দৈন্য ঘুচে, সংসার পালন নিরুদ্বেগে করা যায়। এ সকল কথা আমাদের ওখানে সকলেই বুঝিত। এই বুঝিয়া আমরা খাটিতাম–সন্দেহ নাই। কেবল তাহাই নহে, আমরা স্বাবলম্বী ও আত্মনির্ভর হইবার জন্যই এখানে নিজে