বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
হ্যাম্পটনে জীবন গঠন
৭৯

শ্রেণীর খান্সামার কাজ করিতে হইল। পরে পরিবেষণের কাজ শিখিয়া লইলাম। আবার সেই উচ্চ পদে উন্নীত হইয়াছিলাম।

 যে হোটেলে আমি এই সময়ে খান্সামাগিরি করিতেছিলাম, এই হোটেলেই আমি ভবিষ্যতে পয়সা খরচ করিয়া অতিথিভাবে বাস করিয়া গিয়াছি। সংসারে এইরূপ পরিবর্ত্তন অহরহ ঘটিতেছে।

 হোটেলের কাজ ছাড়িয়া আমার স্বদেশ ম্যাল্‌ডেন-নগরে ফিরিয়া গেলাম। তখন হইতে আমি আমাদের সেই নিগ্রো-বিদ্যালয়ের জন্য শিক্ষক নিযুক্ত হইলাম। আমার সুখের দিন আরম্ভ হইল—কারণ এতদিনে আমি নিগ্রোজাতির জন্য কর্ম্ম করিতে উপযুক্ত বিবেচিত হইয়াছি। এতদিন পরে আমার পল্লীবাসীদিগকে উন্নত করিবার সুযোগ পাইলাম।

 প্রথম হইতেই বুঝিলাম যে নিগ্রোসমাজে কেবল পুঁথিগত বিদ্যা প্রচার করিলে আমাদের প্রকৃত উপকার সাধিত হইবে না। কতকগুলি পুস্তক পড়িতে শিখিলেই নিগ্রোরা মানুষ হইবে না। তাহাদের সমস্ত জীবনটা নূতন ভাবে গঠন করা আবশ্যক। আমি সকাল ৮টা হইতে রাত্রি ১০টা পর্য্যন্ত খাটিতে লাগিলাম। স্কুলে পড়ান ছাড়া পল্লী ভ্রমণ এবং গ্রাম পরিদর্শন আমার কাজের মধ্যে ছিল। আমি ছাত্রদের বাড়ীতে বাড়ীতে যাইতাম। তাহাদিগকে চুল পরিষ্কার রাখিতে শিখাইতাম, দাঁত মাজিতে বলিতাম। তাহারা স্নান করিতে, পোষাক ধুইতে এবং অন্যান্য নানা কাজ করিতেও উপদেশ পাইত। নিজ হাতে তাহাদের